কামরুজ্জামান কানু,জামালপুর:
জামালপুর পৌরসভা নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা না হলেও জামালপুরের সাতটি পৌরসভায় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদেরমধ্যে দলীয় মনোনয়ন লাভের দৌড় ঝাঁপ শুরু হয়েছে।
সম্ভাব্য প্রার্থীরা কাটাচ্ছেন নির্ঘূমরাত। দলীয় মনোনয়নের আশায় নিজের শক্তি জহির করতে দিচ্ছেন শোডাউন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন লাভের প্রত্যাশায় শুরু হয়েছে জোর তৎপরতা । জামালপুর পৌরসভার মাঠে বইছে এখন উত্তাল হাওয়া।
পৌরসভা নির্বাচনের তপসীল ঘোষণা না হলেও বিভিন্ন প্রার্থীদের চলমান তৎপরতায় জামালপুর পৌরসভার অলি গলি এখন সরগরম। চায়ের আডডা থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছে বিশ্লেষন। নির্বাচনী মাঠ মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
দলীয় সমর্থন ও পৌরবাসীর দোয়া পেতে তারা শহরের গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে টানিয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে তারা নির্মাণ করেছেন সুদৃশ্য তোরণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমের পাতা গুলো এখন বিভিন্ন প্রার্থীর বাহারী বিজ্ঞাপনে সয়লাব। সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগাম মাঠে নেমে পড়ায় এবার জামালপুর পৌরসভা নির্বাচনে কে পাবেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন এই নিয়ে ভোটারদের মাঝে চলছে জল্পনা কল্পনা। যোগ্য প্রার্থী নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পাশাপাশি চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষন।ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ব্যানার থেকে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছেন বর্তমান মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আমান উল্লাহ আকাশ, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: মাসুম রেজা রহিম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সুরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন ছানু, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো: মোখলেছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নারায়ন চন্দ্র পাল রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন, এ এম কলেজের সাবেক ভিপি মো: মন্জুরুল ইসলাম লান্জু ও মো: শাহরিয়ার উজ্জল, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারহান আহাম্মেদ, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মসিউর রহমান বাবু , শহর আওয়ামী লীগেরসাবেক যুগ্ম সম্পাদক তারিক মালিক সিজার ও ছাত্রলীগের জামালপুর শহর শাখার সাবেক সভাপতি নুর হোসেন আবাহনীসহ ১৪ জন।
সম্ভাব্য সকল প্রার্থীরাই দলের স্থানীয় নীতি নির্ধারকদের সাথে যোগাযোগ ছাড়াও অনেকেই কেন্দ্রীয় পর্যায়ে লবিং শুরু করেছেন। চেষ্টা তদবির চালাচ্ছেন ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে নিজ নিজ অবস্থান শক্ত করতে। শহরের বিভিন্নজায়গায় প্যানা, বিলবোর্ড, ব্যানার , পোস্টার এবং সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ১৩জন প্রার্থীর সচলতা দেখা গেলেও একমাত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক মো: সুরুজ্জামানের সচলতা শুধুই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক সুরুজ্জামান জানান, দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে কেন্দ্রীয় ভাবে, ব্যাপক গনসংযোগ নেমে দলীয় কর্মীদের নিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরী করে আমি কর্মী বিভাজনে বিশ্বাস করি না। কোন কারণে দলীয় মনোনয়ন না পেলে আমার প্রচারণায় সম্পৃক্ত কর্মীদের মাঝে সৃষ্ট আবেগের কারণে দল মনোনীত প্রার্থীর প্রতি বিরুপ মনোভাবের উদাহরণ অতীতে দেখা গেছে। এ রকম বাস্তবতার মুখোমুখি তিনি হতে চান না। তিনি আরও জানান, দলের স্থানীয় নেতারা তাকে জানেন এবং সম্মানিত পৌরবাসীর কাছেও তিনি অপরিচিত নন। সার্বিক বিবেচনায় দল তাকে মনোনয়ন দিলে দল ও এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করবেন।
CBALO/আপন ইসলাম