শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন

ই-পেপার

পাবনার চাটমোহরে মুরগির খামারের গন্ধে অতিষ্ট এলাকাবাসী

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৩৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

পাবনার চাটমোহরে মুরগির খামারের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী । প্রতিবাদ করায় হামলা করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাটমোহর উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগে অভিযোগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ও সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের আনকুটিয়া গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে ছবের উদ্দিন ও হাফিজ উদ্দিনের মুরগির খামার রয়েছে। ৬টি শেডে প্রায় ৪ হাজার মুরগি লালন পালন করা হয়। মুরগির বিষ্ঠা সঠিক ভাবে অপসারনের ব্যবস্থা না থাকায় গন্ধে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এদিকে বর্জ অপসারনের ব্যবস্থা না থাকায় পরের জমিতে তা পাইপ দিয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে আশ পাশের ফসলি জমিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেই সাথে আশে পাশের পুকুরগুলো বর্জের কারনে মাছ চাষ ব্যহত হচ্ছে। একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে অন্য দিকে অতিরিক্ত দুর্গন্ধের কারনে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছে, স্থাণীয় বাসিন্দারা।

 

এ ব্যাপারে কয়েকজন বাসিন্দা বাদী হয়ে চাটমোহর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে তা তদন্ত করেন প্রানী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকালে খামারীরা অভিযোগকারীর প্রধান মোঃ বকুল হোসেনকে লোহার রড, জিআই্ পাইপ ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে গুরত্বর আহত করে। হামলার ঘটনায় বকুল বাদী হয়ে চাটমোহর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করেন। হামলার ঘটনায় আসামীরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে অভিযোগকারীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। সেই সাথে মামলা তুলে না নিলে আবারও হামলা বা প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাটমোহর উপজেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরে গেলে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রোকনুজ্জামান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। তিনি আরো জানান, খামারটির রেজিষ্টেশন করা হয়নি।

 

ঘনবসতি এলাকায় মুরগির খামার থাকায় দুর্গন্ধে মানুষ বসবাস করতে পারছে না। ফলে খামারটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। খামারটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এই প্রতিবেদন চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রেরন করেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম জানান, তদন্ত রিপোর্ট পেলে খামারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আবাসিক এলাকায় মুরগির খামার গড়ে তুলে মানুষের বসবাস অযোগ্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সরকারী নিয়ম মেনে খামার পরিচালনা করা না হলে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর