যাওয়ায় প্রায় ২ কিলোমিটারের রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় মেগা প্রকল্প রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার পয়েন্টের রাশিয়ান কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও এ জ্যামে আটকা পড়েন। এ সময় ঈশ্বরদী থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুরোধ করলে তারা পুলিশের সাথে বিতণ্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে ২ প্লাটুন সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে অবস্থান নেন। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এবং প্রায় ২ ঘন্টাপর সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জীবন সরকার জানান, আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় অবস্থান নিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা এসে আমাদের পিটিয়ে সড়ক থেকে উঠিয়ে দিয়েছেন। নিজেকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করে শিক্ষার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, আমাদের অন্তত ২৩ জন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে পুলিশ সদস্যরা। আহতরা সবাই ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শিক্ষার্থী রিফাত জামান বলেন, আমাদের উপর এ হামলার সঠিক বিচার না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো এবং প্রয়োজনে ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেব। এবিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা সোমবারও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করতে ছিলো। আমরা তাদের দাবি দাওয়া গুলো সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে আলোচনা করে পুরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে ছিলাম। হঠাৎ আজকে আবার কোনো কারণ ছাড়াই তারা সড়ক অবরোধ করেছেন।