বাউল শিল্পীদের বিতর্কিত মন্তব্যে ধর্মীয় অনুভূতির অবমাননার প্রতিবাদে মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো হেফাজতে ইসলামের আয়োজিত এক বিশাল “শানে তাওহীদ” মহাসম্মেলন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এই গণসমাবেশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসলিম অংশ নেন।সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলাম মানিকগঞ্জের সভাপতি মুফতি শাহ্ মুহাম্মদ সাঈদ নূর। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামা, যাঁরা ধর্মীয় অনুভূতি রক্ষায় কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরেন।মধুপুর পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল হামীদ তাঁর বক্তব্যে লালন তিরোধান দিবস জাতীয় দিবস হিসেবে বাতিলের জোর দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি আলেম-ওলামার প্রতি হয়রানিমূলক আচরণের বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেন—ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী বলেন, দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হলে তারা শান্তিপূর্ণভাবেই তার প্রতিবাদ জানাবে এবং ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করবে।ইসলামী গবেষক মুফতি রিজওয়ান রফিকী বাউল সম্প্রদায়ের কিছু মতবাদ নিয়ে জনমনে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছেতা দূর করতে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম মানিকগঞ্জের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুল হান্নান পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন, ধর্মীয় অবমাননার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন প্রণয়ন,ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতকারী কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ ,ওরশ-মাজার-মেলাসহ যেকোনো ধর্মীয় সমাবেশে অসামাজিক কর্মকাণ্ড ও মাদক নিয়ন্ত্রণ,লালন তিরোধান দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা,তৌহিদী জনতার বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক মামলার তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পুনর্মূল্যায়ন।