রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার পুরাতন খাদ্যবান্ধব ডিলাররা অভিযোগ করেছেন, হাইকোর্টের স্পষ্ট স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় কর্মকর্তারা তা কার্যকর করতে গড়িমসি করছেন। তারা ডিলারশিপ পুনর্বহাল, প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধ এবং দায়িত্বহীন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিলাররা অভিযোগ তুলে বলেন, ২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর খাদ্য মন্ত্রণালয় পুরাতন একটি সার্কুলারের ভিত্তিতে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে বহু পুরাতন ডিলারের ডিলারশিপ বাতিলের চেষ্টা করেছে। প্রতিবাদে তারা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করলে আদালত ছয় মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। মোঃ মাহবুব আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, “এটি প্রশাসনিক সেচ্ছাচারিতা নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের আদেশকে উপেক্ষা করা, যা আইনত শাস্তিযোগ্য।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, মাসের পর মাস আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। পুরাতন ডিলাররা হাইকোর্টের আদেশকে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়ে বলছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদেশ কার্যকর না হলে তারা আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করতে বাধ্য হবেন। ডিলারশিপ বাতিল হওয়ায় তারা চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন এবং মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ডিলারদের তিন দফা দাবি,হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ অনুযায়ী অবিলম্বে ডিলারশিপ পুনর্বহাল।আদালতের আদেশ অমান্যকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।ব্যবসায়িক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালানোর সুযোগ এবং প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবির লিজু, মেনোকা মাহবুব সরকার, মনোয়ারুল ইসলাম, মাসুদা বেগম, নজরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হোসেন, আজিনুর ইসলামসহ ৩৩ জন পুরাতন ডিলার।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক উম্মে কুলছুমা বেগম বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া আমি কিছু বলতে পারব না।
জেলা খাদ্য অফিসার সালেহ আজিজ জানান, আমরা হাইকোর্টের আদেশ মেনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু সাঈদ বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের আদেশ কেউ অমান্য করলে আদালত ব্যবস্থা নেবে।