যশোরের অভয়নগরে অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত যুবসমাজ, কিশোর গ্যাংএর দাপটে আতংকিত অভিভাবক মহল। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে, কেউ বাড়ি-জমি সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে, আবার কেউ-কেউ রাতারাতি কোটিপতি বনে বাড়ি-গাড়ির মালিকসহ গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি, হয়ে পড়েছেন অটল সম্পদের মালিক। অনলাইন জুয়া খেলার তান্ডবে অভিভাবক মহলের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে জানা যায়, অনলাইন জুয়ার আসরে এক-এক গ্রামে গড়ে উঠেছে ভয়ংকর সিন্ডিকেট, অনলাইন জুয়া খেলার পাশাপাশি ওইসব সিন্ডিকেটের রয়েছে, ভয়ংকর মরণব্যাধি মাদক ব্যবসাসহ নানারকম অপরাধ কর্মকান্ড বেশ দাপটের সাথে করে বেড়ায় তারা। এসব অনলাইন জুয়া খেলায় বেশিরভাগ উঠতি বয়সী যুবকরা জড়িয়ে পড়েছে। ওইসব অনলাইন জুয়ার সিন্ডিকেটের মুল হোতারা রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করে চলেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বাশুয়াড়ী ইউনিয়ন, সিদ্দিপাশা ইউনিয়নসহ উপজেলার আশপাশের একাধিক অঞ্চল এখন অনলাইন জুয়া ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে অনলাইন জুয়ার কবলে পড়ে শত-শত পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ওইসব পরিবারের জুয়ার টাকা জোগাড় করতে ভিটে বাড়ি সব হারিয়ে ধারদেনা হয়ে এলাকা ছেড়েও অনেকে পালিয়ে গেছে। ওই সব অনলাইন জুয়া খেলা হয় রাজনৈতিক ও স্থানীয় কিছু অসাধু পুলিশের মাসিক মাসোয়ারার মাধ্যমে তাদের ছত্রছায়ায় ভয়ংকর অনলাইন জুয়া খেলা হয়ে থাকে। শুভরাড়া ইউনিয়নের হিদিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম নামে একজন জানান, আমার একমাত্র ছেলে অনলাইন জুয়ার কবলে পড়ে বাড়ির মালামাল সবকিছু বিক্রি করে ফেলেছে শুধু তাই নয় বকাটে ছেলেদের খপ্পরে পরে মাদকসেবনসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে, আমরা কিছুতেই ছেলেকে ভালো পথে আনতে পারছিনা। শুধু তাই নয় এরকম হাজার পরিবার অনলাইন জুয়ার এইরকম ভয়ংকর কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। জরুরি অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করেছেন সচেতন মহল।
এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, অনলাইন জুয়া খেলার বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই, যদি কেউ এবিষয়ে অভিযোগ করে তবে প্রয়োজনী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।