রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২২ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

মানুষের জীবন নিয়ে নওয়াপাড়া শেখ ব্রাদাসের কয়লার ড্যাম্পের আড়ালে ভয়ংকর খেলা

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর(যশোর):
আপডেট সময়: রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ণ

যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ী শেখ ব্রাদাস ভয়ংকর ভাবে মানুষের জীবন বিষাক্ত করে তুলেছে কয়লার ড্যাম্পিংএর বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় মানুষ দিশেহারা। ফলে মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভৈরব সেতুর প্রবেশমুখে আবাসিক এলাকায় গড়ে তুলেছে বড় পাহাড় সোমান কয়লার ড্যাম্প যে ড্যাম্পে প্রতিনিয়ত কয়লায় আগুন লাগছে ও বিষাক্ত কয়লার দূর্গন্ধযুক্ত কালো ধোঁয়ায় এলাকায় অন্ধকার হয়ে পড়ে। শুধু কালো বিষাক্ত ধোঁয়ায় থেমে থাকেনা ধোঁয়ার সাথে কয়লার বিষাক্ত বালু উড়তে থাকে যে কারণে ওই এলাকার অসংখ্য মানুষদের বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। অনিয়ন্ত্রিত কয়লার ড্যাম্পের কবলে ওই এলাকার অসংখ্য পরিবার ও মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে সরকারের নিয়মনীতিকে থোড়াই কেয়ার না করে ওই অপরিকল্পিত কয়লার ড্যাম্প তৈরি করেছে নওয়াপাড়া শেখ ব্রাদাস নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যার নেই কোন পরিবেশ ছাড়পত্র। নিজেরা অবৈধ লাভবান হতে মানুষের মৃত্যুর ফাঁদ তৈরি করে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো কয়লার ড্যাম্প করে মানুষের উপর অঘোষিত নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ওই এলাকার একাধিক মানুষ অভিযোগ করে জানিয়েছেন শেখ ব্রাদাসের কয়লার ড্যাম্পের কারণে রাতে ঘুম হয়না দূর্গন্ধে জীবন বিষাক্ত হয়ে উঠেছে, কয়লার বিষাক্ত ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে যায়। যে কয়লার বিষাক্ত ধোঁয়া বালুর কারণে আমাদের এই অঞ্চলে অসংখ্য মানুষ শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন মৃত্যুর পথের যাত্রী। তাই আমরা সবাই চায় দ্রুত এখান থেকে এই কয়লার ড্যাম্প সরিয়ে নেওয়া হোক। সরেজমিনে আরো দেখা যায়, ওই কয়লার ড্যাম্পের দুই পাশ ঘিরে অসংখ্য বাড়িঘর ও ভৈরব সেতুতে প্রবেশ রোডের দুইপাশে অসংখ্য ছোট-বড় দোকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যে সব বাড়িঘরের মানুষ ও দোকানদাররা ওই কয়লার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বালুর কবলে পড়ে দিশেহারা হয়ে উঠেছে। জরুরি ওই ড্যাম্পে সরেজমিনে তদন্ত করে মানুষদের বাঁচাতে আইনগত পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন সচেতন মহল ও স্থানীয় নাগরিক সমাজ। এবিষয়ে নওয়াপাড়া শেখ ব্রাদাসের ম্যানেজার তাপস বাবু বলেন, ওইখানে যে সমস্যা হয় আমরা সব সময় ঠিক করে ফেলি সমস্যা হওয়ার কথা নয়, প্রতিদিন ড্যাম্পে পানি দেওয়া লোক রাখা আছে তারা কাজ করে। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালাউদ্দীন দিপু বলেন, ওই ড্যাম্পের কাগজপত্র কি কি আছে সবকিছু দেখে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বিষয়টি আমি দেখবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর