পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বড়দাপ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকরা বিক্ষোভ মিছিল সহ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ তাৎক্ষনিক তুলে নেওয়া হয়। যৌন হয়রানীর শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর মা যৌন হয়রানীর বিচার চেয়ে গত সোমবার (৩ নভেম্বর) প্রধান শিক্ষক বরাবরে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানাগেছে, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী প্রতিদিনের ন্যায় পিছনের বেঞ্চে বসে ক্লাস করে। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক ক্লাস নিতে গিয়ে ছাত্রীকে একাই পিছনের বেঞ্চে বসতে দেখে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে যৌন হয়রানী করে। যৌন হয়রানীর ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (০১ নভেম্বর) বিদ্যালয়ে আইসিটি কা¬স চলাকালীন সময়ে।
ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে বড়দাপ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম সরকার (জুয়েল) সঙ্গীয় পুলিশ অফিসার ও ফোর্সসহ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফুল কবির মোঃ কামরুল হাসান, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের সভাপতি বদিউজ্জামান মানিক ও কৃষক দলের সভাপতি ও অভিভাবক মকসেদ আলী উপস্থিত হয়ে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন । পরে আটোয়ারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে পাকা সড়কে বাঁশ আটকিয়ে সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এখানেও পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বড়দাপ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) পরিমল চন্দ্র বলেন, গতকাল বিকেলে অভিযোগের কাগজ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই বিক্ষোভ শুরু করেছে।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লুৎফুল কবির মোঃ কামরুল হাসান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে। দ্রুত একটি নিরপেক্ষ তদন্ত টিম গঠন করা হবে। তদন্তটিমের রিপোর্ট অনুয়ায়ী পরবর্তী বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম সরকার(জুয়েল) বলেন, শিক্ষা বিভাগ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আর যদি থানায় যৌন হয়রানীর অভিযোগ দেন তাহলে ফৌজদারী আইনে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় ইজাহার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কিছু স্থানীয় ও বহিরাগত সচেতন মানুষ বলছেন, ক্লাস চলাকালীন একজন শিক্ষক ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর বিষয়টি নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।