যশোরের অভয়নগরে উপজেলার ৬ নং বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর মরিচা গরু হাটের ইজারা দেওয়া বন্ধ। মহামান্য হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞায় চলমান বাংলা বছরের ইজারা বন্ধ থাকায় উপজেলা প্রশাসন কমিশনারের মাধ্যমে ইজারা আদায় করলেও লাখ-লাখ টাকা চলে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের পকেটে। অনুসন্ধানে জানাগেছে অভয়নগর উপজেলা কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে স্থানীয় চেয়ার ম্যনের নেতৃত্বে ভবানীপুর মরিচা পশু হাট পরিচালনা করে লাখ-লাখ টাকা লোপাট করার অভিযোগ এলাকায় টপ অব দি নিউজ,যা ওপেন সিকরেট নামে পরিচিত। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, উপজেলার বারান্দী পায়রাহাট গ্রামের মৃত আকাম আলী কাজীর ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি গত ২০২৪ সালের ৩/৩/২০২৪ ইং তারিখে ওই পশু হাট ইজারা গ্রহন করে জানতে পারেন ওই পশুর হাটের জমি কোন সরকারি জমি নয়। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে স্থানীয়রা পশুর হাট বসিয়ে হাট পরিচালনা করে আসছে। ফলে ভাড়া করা জমি ও স্থানীয় সিন্ডিকেটর কবল থেকে হাট পরিচালনা করা তার জন্য সম্ভাব না।বিধায় গত ২০/০৩/২০২৪ ইং তারিখে যশোর জেলা প্রসাশন ও অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্ম কতার কাছে মরিচা পশুহাটের সীমানা নির্নয় পূর্বক হাট বুঝে পাইবার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু অদ্যবধি সরকার পক্ষ উক্ত পশু হাটের সীমানা নিধারন করে না দেওয়ায় ভুক্তভোগী ইজারাদার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। যে কারণে ভুক্তভোগী ন্যায় বিচার পেতে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট দাখিল করেন। যে রিট নং ২২২৩/২০২৫ নং মহামান্য হাইকোর্ট রিট গ্রহনপূর্বক পশুহাট ইজারাসহ যাবতীয় কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আরোপকে অমান্য করে শুধুমাত্র পশু হাট ইজারা দেওয়া বন্ধ রাখে উপজেলা প্রশাসন। অন্যদিকে অভয়নগর উপজেলা প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কিছু কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিরা যোগসাজশে একত্রিত হয়ে ওই পশু হাট পরিচালনা করছে এবং প্রতি হাটে কয়েক লাখ টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু ওই পশু হাটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকলেও অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন হাইকোর্টের আদেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে খাস পশুর হাট ঘোষণা করে হাট পরিচালনা করে আসছে। ফলে ঐ পশু হাট থেকে প্রতি হাটবারে কয়েক লাখ টাকা আদায় করা হলেও সরকারি কোষাগারে নামে মাত্র টাকা জমা করা হয়ে থাকে বাকি লাখ-লাখ টাকা অভয়নগর উপজেলা প্রশাসনের কিছু কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও ওই পশুহাট পরিচালনায় নিয়োজিত রাজনৈতিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট সমুদয় টাকা লোপাট করে আসছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এবিষয়ে ভবানীপুর চাকই পশু হাট পরিচালনা করা বাজার কমিটির সভাপতি মন্টু জানান, আমরা কোন হাটের মালিক নয় মালিক উপজেলা প্রশাসন ইউএনও তারা ওই হাট পরিচালনা করে যে টাকা আদায় করা হয়ে থাকে তা উপজেলা প্রশাসনে জমা করা হয়। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারবোনা। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ফারুকী বলেন, ওই পশু হাট সম্পর্কে বিজ্ঞ হাইকোর্ট যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, সেই মোতাবেক আমরা ওই হাট ইজারা দেওয়া বন্ধ রেখে খাস ভাবে হাট পরিচালনা করে আদায়কৃত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করা হচ্ছে। দ্রুতই হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবেদন বিজ্ঞ হাইকোর্টে দাখিল করা হবে।