রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

অভয়নগরে সিকিরহাট খেয়াঘাট ইজারা নিয়ে সর্বশান্ত হয়ে বিপাকে হাফিজুর

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর(যশোর):
আপডেট সময়: শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:২২ অপরাহ্ণ

যশোরের অভয়নগর ও ফুলতলা আন্তজেলা খেয়াঘাট শুভরাড়া সিকিরঘাট ইজারা নিয়ে ইজারাদার হাফিজুর রহমান মহাবিপদে।সহায়সম্বল বিক্রি করে খেয়াঘাটে খরচ করে সর্বশান্ত হয়ে বিপাকে পড়ে গেছে। যার প্রতিকার চেয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও পায়নি কোন সুরাহা। ফলে ইজারাদার হাফিজুরের অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, খুলনা বিভাগীয় স্থানীয় সরকার পরিচালক যুগ্ম সচিব তবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত ২৪-২৭৪(৬০) নং স্মারকে ২০/০৩/২০২৪ ইং তারিখে অভয়নগর উপজেলার বুইকরা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ হাফিজুর রহমানের নামে ৩৩ লাখ ১২ হাজার ৫ শত টাকা গ্রহন পূর্বক ৬/০৩/২০২৪ ইং তারিখে সিকিরহাট আন্তঃ জেলা খেয়াঘাটটি এক বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। পরবর্তীতেও ২০/০৩/২০২৫ ইং তারিখে মোঃ হাফিজুর রহমানের নামে পরিচালক( অতিঃ দায়িত্ব)  স্থানীয় সরকার খুলনা বিভাগ মোঃ হুসাইন শওকত স্বাক্ষরিত ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩ শত টাকায় ওই ঘাটটি আরো এক বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়।

সেই মোতাবেক ইজারাদার খেয়াঘাট পরিচালনা করা কালীন সওজ নড়াইল কতৃক একই খেয়াঘাটে ফেরি নামালে   খেয়াঘাট ২ পাড়েয় ভেঙেচুরে একাকার হওয়ায় পারাপারে ফেরি- নৌকায় যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচলে চরম বিপাকে পড়ায় ওই ঘাট ইজারা গ্রহনকারী প্রায় ১২ লাখ টাকার অধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভুক্তভোগী গত ১০/১২/২০২৪ ইং তারিখে স্থানীয় সরকার বিভাগ পরিচালক বরাবর সিকিরহাট আন্তঃজেলা খেয়াঘাট সংস্কার না হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি পূরণের জন্য আবেদন করেন। গত ২৩/১২/২০২৪ ইং তারিখে ভুক্তভোগী ওই ঘাট সংস্কার চেয়ে আরো একটি আবেদন করেন, ওই আবেদনটি ২৪/১২/২০২৪ ইং তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গ্রহন করে ২৬/১২/২০২৪ ইং তারিখে ২২৬৮ নং সিরিয়ালে তদন্ত করার জন্য রেখে দেন। ভুক্তভোগী ইজারাদারের আবেদন ২ টি গ্রহন করে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুমন আইরিন স্বাক্ষরিত ৮৮৭(খুঃ)(০২) নং স্মারকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফুলতলাকে সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক দ্রুত সংস্কারের বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তর ওই ঘাটের সংস্কার ও ক্ষতিপুরণ বাজেটের অর্থ সমুদয় লোপাট করে আত্মসাৎ করেছে বলে সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে ভুক্তভোগী ইজারা গ্রহনকারীর

 এ যাবৎকাল ওই ঘাট সংস্কারসহ ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোন উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রহন করেনি। ফলে ভুক্তভোগী চরমভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থসহ চরম বিপাকে পড়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায় সিকিরহাট আন্তঃ জেলা খেয়াঘাটে ২ পাড় ভেঙেচুরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ, যানবাহন ফেরিতে পারাপারে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, ব্যাপক যানচলাচল জনগণের পারাপারে ভোগান্তির কোন শেষ হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ লাখ-লাখ টাকা লোপাট করে খেয়ে রয়েছে বহালতবিয়তে। তারা আরো জানান, আমাদের জনগণের কথা ভেবে দেখার সময় হয়তো বড়ো বড়ো কর্তাদের নেই। এবিষয়ে ওই ঘাট ইজারাদার বলেন নদীতে জোয়ার শুরু হলে যানবাহনসহ মানুষ পারাপার করতে চরম অসুবিধায় পড়তে হয়। ঘাট বাদ দিয়ে আর এক স্থানে নৌকা ভিড়িয়ে জনসাধারণদের পার করতে হয়। আর ফেরি সম্পূর্ণ রুপে জোয়ার আসলে বন্ধ করে রাখতে হয়। আমি বার বার আবেদন করেও কোন সুরাহা না পেয়ে পড়েছি চরম বিপাকে। তিনি বলেন, আমি চায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে আমাকে এই চরম বিপদ থেকে রক্ষা করবেন বলে আসা করি সেই সাথে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি আমাকে ক্ষতি পুরন দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি। জরুরী সরেজমিনে তদন্ত করে সিকিরহাট আন্তঃজেলা খেয়াঘাটের সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি করেছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলার ৭ নং শুভরাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর