শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

কয়লা ইউনিয়নে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে কাজের মান বৃদ্ধি, শতভাগ সাফল্য অর্জনে জনমনে স্বস্তি

এম ইদ্রিস আলী, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: 
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:২৪ অপরাহ্ণ

সাতক্ষীরা জেলার করারোয়া উপজেলার কয়লা ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদে টিআর, কাবিখা-কাবিটা, এইচবিবি করণ ও সেতু/কালভার্ট কর্মসূচির অধীনে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল পৌঁছে গেছে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে। অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে গ্রামীণ জনপদে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আর এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সততা ও দক্ষতার সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে সরকারের বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।
উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁরা সবাই সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। তাদের দক্ষ নেতৃত্বে ও সহযোগিতায় ও পরামর্শে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া।
 ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের সরকারী বরাদ্দকৃত টিআর-কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পগুলোর আওতায় উপজেলার কয়লা ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, পুননির্মাণ ও সংস্কার কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, মসজিদ-মন্দির, কবরস্থান, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দিনদিন উন্নত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানসহ গ্রামীণ রাস্তাগুলো- ফলে হয়ে উঠেছে চলাচলের উপযোগী। এসব উন্নয়নের ছোঁয়ায় একদিকে গ্রামীণ জনপদ সাজছে নতুন রূপে এবং অন্যদিকে তার সুফল পাচ্ছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গ্রামীণ রাস্তায় মাটি দিয়ে সংস্কার, ইটের হেরিং রাস্তার কাজ,মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ  ইতোমধ্যে শতভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে। এইসব এলাকার মাটির রাস্তায় বৃষ্টিতে পানি জমে কাঁদা হয়ে মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হতো। এই কাজগুলো করায় আর কাঁদা হচ্ছেনা ফলে সুফল পাচ্ছেন গ্রামীণ জনপদের মানুষ।  এসব কাজের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কৃষি, শিক্ষা ও ব্যবসাসহ বিভিন্ন সেক্টরে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও নিয়মিত নজরদারি এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সার্বক্ষণিক তদারকিতে ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সোহেল রানার অক্লান্ত পরিশ্রমে সকল সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।ফলে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় অনেকের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের এলাকায় অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মাটি দ্বারা সংস্কার করা হয়েছে, অনেক রাস্তায় ইটের সলিং বসিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে, স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসার মাঠ পিআইও অফিসের তত্ত্বাবধানে ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মাটি দ্বারা ভরাট করা হয়েছে,এ কারনে আমরা এলাকাবাসী অনেক খুশি,কাজ অনেক ভালো হয়েছে।
৩নং কয়লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল রানা  বলেন,প্রতিটি প্রকল্পের কাজ পিআইও অফিস থেকে এসে মাপ জরিপ করে শতভাগ  কাজ দেখার পর সে অনুযায়ী বিল দিয়েছে,এখানে অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই।
চেয়ারম্যান  আরও বলেন, তিনি ইউনিয়ন পরিষদে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হতে দেননি এবং একটি সুন্দর ও আদর্শ ইউনিয়ন গড়ে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।  তিনি বলেন, উন্নয়নমূলক কাজকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।প্রশাসনের কাছে তার দায়িত্ব পালনে যাতে কোনো বাধা না আসে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান তিনি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ  হোসেন বলেন,  প্রতিটি এলাকায় নিজে গিয়ে শতভাগ  কাজ বুঝে নিয়ে তারপর বিল দেওয়া হয়েছে। কাজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ  এলাকাবাসীর কোন অভিযোগ নেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর