পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নে কাটা গাং নদীতে চাটমোহর উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে আরো একটি অবৈধ সোঁতীবাধ অপসারণ করেছে। শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
প্রতিবছর বর্ষার পানি চলনবিল অঞ্চল থেকে নেমে যাওয়ার সময় বিভিন্ন নদী ও উৎস মুখে অবৈধভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পানির স্রোত বৃদ্ধি করে চলনবিল অঞ্চলের দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী ধ্বংস করে একশ্রেণীর অসাধু ব্যাক্তিরা। একই সাথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে এই অঞ্চলের কৃষি জমি থেকে পানি নামতে অনেক বেশি সময় লাগে। ভাঙ্গন দেখা দেয় নদীর দুই পাড়ে। ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই অঞ্চলের কৃষক। পানির প্রবাহ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা ও চলনবিল অঞ্চলের দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী রক্ষায় এ সকল সোঁতীবাধ অপসারণ করছে চাটমোহর উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়। ইতিপূর্বে ধরম গাছা এলাকায় একটি সোঁতি উচ্ছেদ করা হয় সেই ধারাবাহিকতায় কাটা গাং নদীতে স্থাপন করা সোঁতীবাধ টিকে শনিবার অপসারণ করে উপজেলা প্রশাসন।
অভিযান পরিচালনা করেন চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী। এ সময় চাটমোহর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক সিনিয়র অফিসার খলিলুর রহমান, চাটমোহর থানা পুলিশ, আনসার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী জানান, কোথাও কোনো সোঁতি বাঁধ স্থাপনের অনুমতি নেই। সোঁতীবাধ স্থাপনের ফলে চলনবিল অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ও দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। একই সাথে পানি প্রবাহ বাধা সৃষ্টি করার কারণে কৃষি জমি থেকে পানি নামতে অনেকটাই সময় বেশি লাগে। ফলে এই অঞ্চলের কৃষকরা চরম হুমকির মুখে পড়ে। সোঁতীবাধ অপসারণে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।