যশোরের অভয়নগর শিল্প সহর নওয়াপাড়ায় বর্তমান রাসায়নিক কয়লার বড় মোকাম, এই মোকাম থেকে দেশের বিভিন্ন ইটভাটা মালিকরা ইট পুড়ানোর জন্য নওয়াপাড়া কয়লা ব্যবসায়ীদের থেকে কয়লা কিনে তাদের ইট পুড়াতে হয়। ফলে ইট ভাটা সিজিনারী ব্যবসায় কয়লা একটি গ্রুপ্তপূর্ণ তাই নওয়াপাড়া কয়লা ব্যবসায়ীরা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কয়লা ড্যাম্পিং করে রাখে। ওই কয়লা ব্যবসায়ীদের আড়ালে নওয়াপাড়ার কয়লা ব্যবসায়ীদের সুনাম ধ্বংস করতে একটি অসাধু চক্র সিন্ডিকেট সব সময় সক্রিয় থাকে। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ইট ভাটা মালিকসহ নওয়াপাড়া বড় বড় কয়লা আমাদানি কারক প্রতিষ্ঠান গুলো। যে কারণে অসাধু কয়লার সাথে ছাই-বালু মিশানো অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিৎ। কয়লার সাথে ছাই মিশিয়ে অবৈধ সিন্ডিকেটের কার্যক্রম বিষয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলেও অজানা কোন কারণে তাদের চিহ্নিত করে নেওয়া হয়নি কোন আইনি পদক্ষেপ। যে কারনে তারা বহাল তবিয়তে ওইসব কয়লার সাথে ছাই মিশানো অবৈধ কারবার সক্রিয় ভাবে করে চলেছে। অন্যদিকে অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা যায় বিভিন্ন কয়লা ড্যাম্পিং এর আড়ালে ভালো কয়লার সাথে ছাই-বালু মিশিয়ে ড্যাম্পিং করে রাখা হচ্ছে। ফলে ওই সব কয়লা কিনে দেশের ইটভাটা মালিকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হবে তেমনই ভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে নওয়াপাড়া কয়লা ব্যবসায়ীদের সুনাম। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, একশ্রেণীর কয়লার সাথে ছাই-বালু মিশানো চক্র ইটভাটার ইটপুড়ানোর মৌসুমকে সামনে রেখে সক্রিয় ভাবে শুরু করেছে কয়লার সাথে ছাই-বালু মিশানো কার্যক্রম। ওইসব কয়লার সাথে ছাই-বালু মিশানো চক্রের বিরুদ্ধে কথা বলারও ক্ষমতা কারো নেই তাদের রয়েছে স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব। যে কারনে ইটভাটা মালিকেরাও রয়েছে চরম বিপাকে। সুযোগ সন্ধানী অবৈধ পন্থায় কয়লার সাথে ছাই-বালু মিশানো চক্রের এহেন কর্মকান্ডের লাগামহীন ভাবে কয়লা ক্রয়কারীদের সাথে প্রতারণা ভয়ংকর রুপ নিচ্ছে। ফলে অচিরেই নওয়াপাড়া বড় বড় কয়লা আমদানি কারকদের ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাবে। ইটভাটা মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিবে কয়লার বড় মোকাম নওয়াপাড়া থেকে। তাই কায়লা নিয়ে কারসাজি করা অবৈধ চক্রকে সনাক্ত করে কঠোর ভাবে তাদের লাগাম টেনে ধরা জরুরি। কয়লা আমদানি কারকদের এই বিষয়টি নজরে রেখে প্রসাশনের সহযোগিতায় ওই সব অবৈধপন্থা অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে দাবি করেছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে নওয়াপাড়া কয়লা মালিক সমিতির সভাপতি রবিন অধিকারী ব্যাচার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ফারুকী বলেন, কয়লার সাথে ছাই মিশানোর ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই, এমন তথ্য পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।