মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত মাসুদ রানাব (২৪) (জারিফ নিলয়) আর নেই। তিনি গতকাল আনুমানিক রাত ০৯:৩০ ঘটিকায় রাজধানীর ঢাকার উত্তরায় আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনেরাল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সম্প্রতি আবার শারীরিকভাবে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার উত্তরায় আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার ও জেনেরাল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী গ্রামের বাসিন্দা মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। দীর্ঘ দিন মরণব্যাধি রোগের সাথে সংগ্রাম করে দুনিয়ার সংক্ষিপ্ত সফর শেষ করেছেন।
মাসুদ রানা ছিলেন একজন সাহসী ও দৃঢ়চেতনার মানুষ। যিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে অসুস্থতার সাথে লড়াই করেছেন অপরিসীম ধৈর্য্য, সাহস ও প্রত্যয়ে। তার এই মৃত্যুতে পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও এলাকাবাসীর মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, বিগত ৩ বছর যাবত (২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে) মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন মাসুদ রানা। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন তার পরিবার। মাসুদ রানার বাবা অনেক আগেই মারা যান। তার চার ভাই দিনমজুর। পরিবারের সবার ছোট ছিলেন মাসুদ রানা। তার পক্ষে ব্যয়বহুল চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না বিধায় তার পাশে দাঁড়ান সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব, স্বজন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। সকলের সহযোগিতায় কয়েক দফায় ২০ লক্ষাধিক টাকার বেশি সংগ্রহ হয় এবং ওই টাকায় তার চিকিৎসার খরচ বহণ করা হয়।
ভয়েস অব পাকুন্দিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এসএম রায়হান জানান, মাসুদ রানার অসুস্থতার খবর পেয়ে শুরু থেকেই তার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েক দফায় আমরা অন্তত ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তার চিকিৎসা কাজে সহযোগিতা করেছি। এছাড়াও আরো অনেকে তার পাশে দাঁড়িয়েছে। মরণব্যাধী ক্যান্সারে অবশেষে মারা গেল সে। তার মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে খুবই খারাপ লাগছে। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
মহান রবের কাছে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে (মাসুদ রানাকে) জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করার জন্য অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্টও করেছেন।