পাবনার চাটমোহরে সামাদ সওদা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সাময়িক বরখাস্তকৃত সুপার আব্দুল ওয়াহহাবকে স্থায়ী বরখাস্ত ও অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে মাদ্রাসার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে মাদ্রাসা ও শতাধিক অভিভাবক অংশগ্রহণ করে।
এদিকে গত ১৯ আগস্ট বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের রেজিষ্টার প্রফেসর ছালেহ আহমাদ তার দপ্তরের বামাশিবো/প্রশা/পাবনা-১২৬/৮৮ নং স্মারকপত্রে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মাদ্রাাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সুপার আব্দুল ওয়াহহাবকে স্বপদে বহালের নির্দেশ দেন। এরপরেই ফুঁসে ওঠে ওই মাদ্রাসার অভিভাবক, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ। এরআগে ২০১৭ সালে নৈতিকস্থলন ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হন আব্দুল ওয়াহহাব।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, অভিভাবক সাইদুল ইসলাম, কুতুব উদ্দিন, রবিউল করিম গোলাম, আব্দুল মোতালিব, হাসানুজ্জামান সবুজ, ছাত্র প্রতিনিধি ভি.ই ক্যাস্ট্রো সাগর, শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস, সাদিয়া খাতুন, সিনথিয়া খাতুন প্রমুখ।
মানববন্ধনে সিনথিয়া, সাদিয়া নামের দুই শিক্ষার্থী তার বক্তব্যে বলে, আবদুল ওয়াহহাব স্যার আমাদের মাদ্রাসার এক ম্যাডামের সাথে অবৈধ সম্পর্কের পর বিয়ে করেন। ওই ম্যাডামের জীবন নষ্ট করে দেন। এছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠানে অনেক অনিয়ম করেছেন। এই মাদ্রাসায় আব্দুল ওয়াহহাব স্যার যোগদান করলে আমরা এই প্রতিষ্ঠানে আর পড়বো না। আমাদের অভিভাবকরাও পড়াবে না।
অভিভাবকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, নালী কেলেংকারির সাথে জড়িত এমন সুপার আবারো যোগদান করলে আমরা আমাদের সন্তানকে পড়াব না। তার চারিত্রিক অবক্ষয়ের কারণে আব্দুল ওয়াহহাবকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু তিনি আবারো নতুন করে যোগদানের পাঁয়তারা শুরু করেছেন। আমরা আব্দুল ওয়াহহাবকে স্থায়ী বহিস্কারের দাবি জানাচ্ছি।