পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ধরাইল গ্রামে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অ্যাডভোকেট দেলোয়ারা খাতুন প্রিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখল, মারধর ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জুলাই সকালে বিবাদমান জমি নিয়ে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বড় পক্ষের দাবি, মৃত আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মোছাঃ ডলি খাতুন ২০০৮ সালে অন্যের কাছ থেকে সাড়ে ১১ শতক জমি ক্রয় করে চার মেয়ের নামে নামজারি করে দেন। মেয়েরা হলেন—পলি খাতুন, মনোয়ারা খাতুন, রুবিয়া খাতুন ও লতা খাতুন। কিন্তু ছোট পক্ষের স্ত্রী মোছাঃ রাবেয়া খাতুন দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি ভোগ করে আসছেন। জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সালিশি বৈঠক হলেও ছোট পক্ষ তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়।
এদিকে ছোট পক্ষের অভিযোগ, বড় পক্ষ সালিশির নাম করে বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়েছে। ছোট পক্ষের বড় মেয়ে অ্যাডভোকেট দেলোয়ারা খাতুন প্রিয়া দাবি করেন, বড় পক্ষের লোকজন সালিশের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে বড় পক্ষের সদস্যরা উল্টো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
মনোয়ারা খাতুন অভিযোগ করে বলেন,, “আমাদের মা তার নিজস্ব টাকায় জমি কিনে দিয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর সৎ মা ও তার ছেলেমেয়েরা আমাদের জমি থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে। তারা প্রভাব খাটিয়ে আমাদের থানায় মামলা করতেও দিচ্ছে না। অথচ অ্যাডভোকেট প্রিয়ার মামলা সহজেই গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা এখন ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় আছি।”
এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। চার দফা সালিশি বৈঠক হলেও বিরোধের সমাধান হয়নি। দুই পক্ষই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
পাবনার চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন,, “জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”