পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বন্যাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে শোভাযাত্রাটি পৌর শহরের নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গন থেকে বন্যাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু সহ তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে মিছিলটি ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পথসভায় শেষ হয়। পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্ট ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ মালিথা। বক্তারা বলেন, ১৯৭৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর বাংলা রাখাল রাজাখ্যাত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজ হাতে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে এই দলের নেতাকর্মীরা আজ পর্যন্ত দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের কান্তি কালেও বন্যা জলোচ্ছ্বাস ও মহামারীতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আজকের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বারবার স্মরণ করছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অল্প কিছুদিন দেশ সেবা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি যদি দীর্ঘ সময় দেশ সেবার সুযোগ পেতেন তাহলে এদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতেন। তার সহধর্মিনী আপোষীণ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনিও দেশের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যায়। আগামী নির্বাচনে দল ক্ষমতায় এলে এদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হবে ইনশাল্লাহ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিদ্রোহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। বক্তারা আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার মিথ্যা মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের অন্ধকার কারাগারে আটকে রেখেছিল। বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আমাদের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করেছেন। গোটা দেশটাকে একটি কারাগারে পরিণত করেছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। আজকে দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা হয়েছি মুক্ত। আগামী নির্বাচনে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসন ফিরিয়ে আনতে সকল নেতাকর্মীকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা জেলখানায় নিদারুন কষ্ট করেছি। মানবতর জীবন যাপন করেছি। রাজনৈতিক সহকর্মীরা দীর্ঘ ১৬ বছর তাদের বাড়িতে থাকতে পারেননি। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় অনেকে আহত হয়েছে। আক্রমণের শিকার হয়ে কেউ কেউ মারা গিয়েছে। সকল দ্বিধাদন্ড ও মনের কষ্ট ভুলে দলকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদল নেতা আহসান হাবীব, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির দুলাল, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন , পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান পাতা, আমিনুর রহমান স্বপন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম হোসেন জুয়েল, আক্কাস আলী মেম্বার , ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আশিকুর রহমান নান্নু, ঈশ্বরদী পৌর ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসান, পৌর ষুবদলের সাবেক সভাপতি মোস্তফা নূরে আলম শ্যামল, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ নান্টু, সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান ফুল জুয়েল, খোরশেদ আলম দিপু, আক্তার হোসেন নিফা, পৌর ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোঃ রিংকু শেখ, পৌর ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুর ইসলাম, পৌর ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিঠুন হোসেন, পৌর ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ রউফ আব্দুল, পৌর ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশাদুল হোসেন, মাহামুদ হাসান সোনামনিসহ বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, তাঁতি দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।