পাবনার আটঘরিয়ার একদন্তে তালাকের নোটিশ পাওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট নগদ টাকা ছিনতাই ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহতদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৩১ আগষ্ট রবিবার দুপুরে একদন্ত পালপাড়া গ্রামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মদ।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের আবুল কাসেম আলীর ছেলে আলী হাসান সোহাগ এর সাথে বিয়ে হয় ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের মান্নানগাও(বাদল) গ্রামের আসলাম হোসেন এর মেয়ে আসমানীর সাথে।
বিয়ের পর থেকেই আলী হাসানের স্ত্রী আসমানী খাতুন পরকিয়ায় জড়িত থাকত। একপর্যায়ে
বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানা জানি হলে
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ ও মনোমালিন্য সৃষ্টি হতো। গত ২৭ আগষ্ট এবিষয়ে ছেলের পক্ষ থেকে একটি তালাকের নোটিশ পাঠানো হয় মেয়ের পরিবারের কাছে।
আজ ৩১ আগষ্ট তালাকের নোটিশ মেয়ের পরিবার হাতে পেয়ে তাৎক্ষণিক তাদের আত্মীয় নরজান গ্রামের বাচ্চুর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন এর কাছে এসে তালাকের নোটিশ দেখায়।
এসময় জাহাঙ্গী, রুহুল গং ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, জিআইপাইপ দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে
আবুল কাসেম আলী বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে আবুল কাসেম, সালহা খাতুন, আলী হাসান সোহাগকে কুপিয়ে, বেধরক মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
এবং আলমারি, ডয়ের, শো-কস ভাংচুর করে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা, ৬ থেকে ৭ ভরি স্বর্ণলংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।
আলী হাসান সোহাগ জানান, আমার স্ত্রী আসমানী পরকিয়ায় জড়িত ছিল। যার কারনে আমাদের পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। পরে তাকে শর্তক করে দেয়ার পরেও সে পরকিয়ায় লিপ্ত থাকতো।
যার কারনে তাকে তালাকের নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশ পেয়ে জাহাঙ্গীর, রুহুল দলবল নিয়ে এসে ধারালো অস্ত্র সশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাংচুর লুটপাট করে নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, ৭ ভরি স্বর্ণ সহ জিনিস পত্র নিয়ে যায়। এঘটনায় আটঘরিয়া থানায় মামলার প্রত্ততি চলছে।