অনুকুল আবহাওয়া আর সার সংকট না হওয়ায় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পাটের আবাদ ভালো হয়েছে।এবার পাটের বাম্পার ফলন ও বাজার দাম ভালো হওয়ায় খুশি সলঙ্গার কৃষকেরা।এ বছর সলঙ্গা থানার ৬ টি ইউনিয়নে পাটের চাষাবাদ ভালো হয়েছে বলে জানা গেছে।কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগীতায় বোরো ধানের পাশাপাশি এবার পাটের আবাদও ভালো হয়েছে।তবে পানি সমস্যার কারনে কিছু কিছু এলাকায় পাট জাগ দেয়া নিয়ে হিমশিমে পড়েছিল ককৃষকেরা।বেশির ভাগ এলাকায় পাট কাটা জাগ দেয়ার কাজ প্রায় শেষ।এরই মধ্যে বিভিন্ন গ্রামে পাটের আঁশ ছাড়ানো (পাট ধোয়া) ও শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কিষাণীরা।পরিবারের অন্যান্য নারীরাও এ সব কাজে সহযোগীতা করছেন।নতুন পাট বাজারে উঠতে শুরু করেছে।বিঘা প্রতি জমিতে ৭-৯ মন পর্যন্ত পাটের ফলন হয়েছে।এবার পাটের দামে কৃষকেরা অনেকটাই খুশি।বর্তমান বাজারে কৃষক এক মন পাট বিক্রি করছে ৪২০০ থেকে ৪৫০০ টাকা।নলকা কায়েম গ্রামের পাটচাষী আব্দুর রশিদ,জয়নাল আবেদীর,কিরণ জানান,ইরি-বোরো আবাদের পাশাপাশি কিছু জমিতে পাট চাষ করেছিলাম।যেমন ফলন ভালো পেয়েছি,বাজারে দামও সন্তোষজনক।তাই এবারে পাট চাষে খুশি হয়েছি।রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মমিনুল ইসলাম জানান,অন্য বছরের তুলনায় এ বছর যথাসময়ে খরা,ভালো বীজ,সার সংকট না থাকায় রায়গঞ্জে পাটের আবাদ আশানুরুপ হয়েছে।
গত বছর রায়গঞ্জে ৫৯০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিল।এবার আবাদ হয়েছে ৬৮৫ হেক্টর জমিতে।যা গত বছরের তুলনায় ৯৫ হেক্টর বেশি।তিনি আরও জানান,কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে পাট চাষে কৃষকদের উদ্বদ্ধ করণসহ উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিটি ব্লকে সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ ও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।তাই প্রতি বছরের মত এবারেও কৃষকেরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছতে পেরেছে।