পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নে যৌতুকের দাবিতে তানিয়া (২৩) কে মারধর করে রক্তাক্ত জখম ও আটক করে রাখার ঘটনা ঘটেছে।
২৪ আগস্ট রবিবার সন্ধ্যা রাত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যৌতুকের দাবিতে সেনা সদস্যের স্ত্রী তানিয়া আক্তার কে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। পরে রাত বারোটার দিকে তানিয়ার শ্বশুরবাড়ি ফৈলজানার মেঘার পাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।
অভিযোগে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকার পল্লী চিকিৎসক আব্দুর রশিদের মেয়ে তানিয়া আক্তারের সাথে ফৈলজানা ইউনিয়নের মেঘার পাড়া এলাকার কুদ্দুস সরকারের ছেলে সেনা সদস্য সবুজ হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। প্রায় এক বছর আগে শ্বশুরবাড়িতে তুলে আনা হয় তানিয়া আক্তার কে। এরপর থেকেই যৌতুকের দাবিতে নিয়মিত মারধর করা হতো। সেনা সদস্য সবুজ হোসেন সহ পিতা কুদ্দুস, মাতা সূর্য খাতুন সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালীশ জানালে সবুজের এক মাসের জেল হয় একই সাথে সবুজের পরিবার মুচলেকা দিয়ে আসেন আর এরকম ঘটনা ঘটবে না বলে। কিন্তু আবারো তাকে মারধর শুরু করলে গত ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ও মাথায় আঘাতের ফলে মাথা ফেটে যায়। আশপাশের প্রতিবেশীরা আহত তানিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে পরিবারের লোকজন তাকে একটি ঘরে আটক রাখেন। পরে চাটমোহর থানা পুলিশের সহযোগিতায় রাত বারোটার দিকে গুরুতর আহত তানিয়াকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সংবাদ লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানেই চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
পরিবারের লোকজন জানান, এ ব্যাপারে চাটমোহর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনজুরুল আলম জানান, খবর পাওয়া মাত্রই আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কবে যোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।