বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

প্রাণ ডেইরি সেন্টারের ইনচার্জকে মারধর, সন্দেহের তীর ভেজাল দুধের সরবরাহকারীদের দিকে

পাবনা প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ণ

পাবনার চাটমোহরে প্রাণ ডেইরি মাদার সেন্টারের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলামের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গুনাইগাছা সেন্টারের পাশের চাটমোহর-বাঘাবাড়ি মহাসড়কে এঘটনা ঘটে। এসময় তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। সম্প্রতি চার জন ভেজাল দুধ সরবরাহকারীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়। এর জেরে এঘটনা ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করছেন প্রাণ ডেইরির আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।

ভুক্তভোগী ও অন্যান্য সূত্র বলছে, আহত ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম গত এক বছর ধরে চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছার প্রাণ ডেইরি মাদার সেন্টারের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সেন্টার থেকে এক কিলোমিটার দূরে নতুন পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি। প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন সিরাজুল। পথে সেন্টারের পাশে চাটমোহর-বাঘাবাড়ি মহাসড়কে উঠতেই হেলমেট পরিহিত এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে সামনে এসে সিরাজুলের গতিরোধ করেন। এরপর আরো ৩ জন এসে লোহার রড দিয়ে সিরাজুলকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তার মাথায় তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে উঠতেই একজন হেলমেট পরে মোটরসাইকেল নিয়ে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। আমি স্লো হতেই তিন দিক থেকে আরো তিনজন এসে লোহার রড দিয়ে আমাকে মারতে শুরু করে। আমি কোনোরকমে একজনকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে সেন্টারে যাই। পরে আমার অফিসের লোকজন আমাকে হাসপাতালে নেন।

তিনি বলেন, এটা পরিকল্পিত ঘটনা। তারা রাস্তার পাশেই ওতপেতে ছিলো। আমি যেতেই আক্রমণ করে। কেউ কোনো গালিগালাজ করেনি বা কথা বলেনি। একজন হেলমেট পরিহিত ছিলো। বাকিরা মাস্ক পরিহিত ছিলো। ফলে কাউকেই চিনতে পারিনি। এই এলাকায় আমার কারো সাথে কোনো ধরণের ব্যক্তিগত খারাপ সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে নিশ্চিত করে না বলতে পারলেও যাদের কোড (দুধ সরবরাহকারী) বাতিল হয়েছে তাদের কেউ এটি ঘটিয়ে থাকতে পারে।

চাটমোহর গুনাইগাছা প্রাণ ডেইরি মাদার সেন্টারের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শরীফ উদ্দিন তরফদার বলেন, আসলে কি কারণে আমাদের কর্মকর্তার ওপর হামলা হলো সেটি আমরা এখনো একদম নিশ্চিত নই। তবে সম্প্রতি দুধে ভেজাল পাবার কারণে আমরা বেশকিছু কোড (দুধ সরবরাহকারী) বাতিল করেছি। গতকালও একজনকে রিজেক্ট করা হয়েছ। এসবের জেরে এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে সন্দেহ করছি। এঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এব্যাপারে চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, ওই সেন্টারের পক্ষ থেকে কয়েকজন থানায় এসেছিলেন। তারা কিধরনের অভিযোগ দেবেন সেব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত জানাননি। তারা মামলা করতে চাইলে মামলা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর