বান্দরবানে লামায় জমি জবরদখল এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফাঁসিয়াখালীর ৪ নং ওয়ার্ড এর বিছান্ন্যাছড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আবুল হোছাইন (৬২)। সোমবার (২৩ জুন) দুপুর ১২ টায়নপরিবারবর্গ এর আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে প্রতিপক্ষ কর্তৃক হয়রানির বিস্তারিত তুলে ধরেন।
ভুক্তভোগী মোঃ আবুল হোছাইন জানান, আমি ও আমার ভাইবোনেরা আমার পিতার নামীয় লামা উপজেলার আওতাধীন ৩ নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নস্থ ২৮৬ নং ফাঁসিয়াখালী মৌজার আর ৫৫৫ হোল্ডিং এর অন্তর ৪.৭২ একর ও ডি.পি ১৮০৪ এর ৪.৪৫ একর ২য় ও ৩য় শ্রেনীর জায়গায় গৃহ নির্মাণ করিয়া দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর ধরে বসবাস করে আসিতেছি। আমরা ৪ ভাই ও ৩ বোন। তারাও সেখানে বসবাসরত।
আমাদের জায়গার পাশে আমার পিতার দানকৃত জায়গায় বহিরাগত লোক সীমান্তবর্তী চকরিয়ার ইউনিয়ন ফাঁসিয়াখালীর নয়াপাড়ার বাসিন্দা মৃত ঠান্ডা মিয়া পুত্র মোঃ বাদশা (৫৫),ফতে ইউনুছ এর পুত্র সরোয়ার আলম (৪৫),বেলাল উদ্দীন (৪৮)সহ অজ্ঞাত আরও ১২/১৫ জন লোক। আমাদের জায়গার প্রতি লোভের বশবর্তী হয়ে হইয়া গত ৬ বছর যাবৎ জবরদখল চেষ্টা করিয়া আসিতেছে এবং বিবাদীগণ আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়া হয়রানি করছে। কয়েকবার ডাকাতের সদ্মবেশে বাড়ির মালামাল লোটপাট, মারধর,হামলাসহ প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করছে। এছাড়াও আমাদের জায়গাতে চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না।
প্রতিপক্ষরা তাদের অনুকূলে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তা সত্ত্বেও তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এটিকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন।
কিছু দিন পূর্বে হাতির আক্রমনে আমার ভাইয়ের ছেলে ফরিদুল আলম মৃত্যু এবং বন্যহাতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আমরা উপস্থিত না থাকার পর লামা বনবিভাগকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলায় জড়ানো হয়েছে। গতকাল আমাদের বাড়িতে রাতে তালা ভেঙ্গে মালমাল লোট ও বরজ এর পান নিয়ে গেছে। বর্তমানে ছোট আমাদের ছোট ছেলে মেয়ে ও মহিলাদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এটিকে সপ্ম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন। প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আবুল হোছাইন প্রতিপক্ষের সকল ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।