পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের খালপাট কুঠিপাড়া বড়াল নদীর ওপর হালুয়া ঘাটা সেতু নির্মাণে ৮ বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। দুই বার দরপত্র আহবান ও ঠিকাদার পরিবর্তন হয়েছে। এতে উপজেলার ব্যবসায়িসহ লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
জানা যায়, বড়াল নদীর দুই পারে ভাঙ্গুড়া বাজার অবস্থিত। পশ্চিম পারে ভাঙ্গুড়া বাজার ও পূর্ব পারে শরৎনগর বাজার। শরৎনগর বাজারে রয়েছে উপজেলা পরিষদ, পৌর সভা কার্যালয়, সদর ইউনিয়ন, খানমরিচ ইউনিয়ন ও দিলপাশার ইউনিয়ণ পরিষদ কার্যলয়, সরকারি বেসরকারি একাধিক ব্যংক, পশু হাট, ধান, গম, সরিষাসহ পাটের বড় হাট। এ হাঠে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটর জেলার বিভিন্ন মানুষ ট্রাক বোঝাই করে মালামাল কেনা বেচা করে। এ সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ সকল প্রতিষ্ঠান লাভবান হবে।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এ নদীর ওপর একটি সেতু করার সিদ্ধান্ত নেয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে আওয়ামী লীগের স্থানিয় সাংসদ মকবুল হোসেন ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে সেতুটির ভিক্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং কাজও শুরু হয়। কিছু কাজ করেই ঠিকাদার চলে যায়।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৯৬ মিটার দীর্ঘ এ সেতুর ব্যায় ধরা হয়েছিল ৬ কোটি ৩৮ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬শ ৮৮ টাকা। প্রথম দফায় পাবনার একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ নিয়েছিল। তারা ৪ টি ‘বডার গ্রাড করে চলে যায়। ২ বছর কাজ বন্ধ থাকে। ২য় দফায় দরপত্র আহবান করেন। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ৮ কোটি ২৮ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। কাজটি পান চট্রগ্রাম নাছিরাবাদের মো: ইউনুস এন্ড বাদ্রার্স।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর দুই পারের অ্যাপ্রোচ সড়ক ও সবগুলো স্লাব ঢালাইয়ের কাজ শেষের দিক। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮/১০ জন শ্রমিক কাজ করছে। প্রায় ৯০% কাজ হয়েছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হারুন অর রশিদ জানান, সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ও সবগুলো স্লাব ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ হবে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রকৌশলী সালেহ হাসান প্রামানিক বলেন, প্রথম ঠিকাদার কাজ না করে চলে যায়। এতে সময় লেগে যায়। বর্তমান ঠিকাদারের কাজের গতি ভাল। ধারনা করছি অল্প দিনের মধ্যে কাজ বুঝে পাব।