সাতক্ষীরায় স্বামীর বাড়ি থেকে দুই সন্তানের জননী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ায় খোঁজ না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন আকবর আলী। অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল আমিন পাড়া গ্রামের মুনছুর আলী’র ছেলে আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে একই উপজেলার কাশেমপুর দহারকান্দা গ্রামের আকবর আলী’র কন্যা হালিমা খাতুনের সহিত ২৫ বছর পূর্বে মুসলিম শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে দাম্পত্য জীবনে খুটিনাটি বিষয় নিয়ে হালিমা খাতুনের শাশুড়ী ২ নং বিবাদী ফাতেমা বেগম (৫৯) এর হুকুমে ১ নং বিবাদী আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) তার স্ত্রীকে প্রায়শই বেধড়ক মারপিট ও জখম করে। হালিমা খাতুন কে ভরনপোষণ না দিয়ে প্রায়শই বিবাদীদ্বয় তার বাবার বাড়িতে এক কাপড়ে পাঠিয়ে দেয়। এসব নানাবিধ কারনে ভুক্তভোগীর বাবা তার কন্যা হালিমা খাতুন বিবাদী কর্তৃক দীর্ঘদিন যাবত নির্যাতনের শিকার হওয়ায় উক্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েক দফায় সালিশ করে সমাধানে ব্যর্থ হয়। হালিমা খাতুনের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। গত ০২ জানুয়ারি তারিখ রাত্র আনুঃ ০৯ টার সময় হালিমা খাতুন কে বিবাদীদের বাড়িতে থাকা কালীন সময় ১ নং বিবাদী তার শয়নকক্ষে রেখে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে। নির্যাতনের খবর পেয়ে পরের দিন ভুক্তভোগীর বাবা কয়েকজন কে সঙ্গে নিয়ে বিবাদীর উল্লেখিত ঠিকানায় যেয়ে হালিমা খাতুন কে দেখতে না পেয়ে তার খোঁজ খবর নেয়। হালিমা খাতুন কোথায় আছে সে বিষয়ে বিবাদীদ্বয়ের নিকট জানতে চাইলে তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। একপর্যায় নিখোঁজ হালিমা খাতুন কে খুঁজে নেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বাদীপক্ষকে তাড়াইয়া দেয়। এদিকে হালিমা খাতুন কে অনেক খোজ খবর করেও তার বাবা কোন প্রকার সন্ধান পায়নি। বাদী আকবর আলী’র আশংকা তার কন্যা হালিমা খাতুন কে বিবাদীদ্বয় ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে পরস্পর যোগসাজশে কন্যাকে নির্যাতন পূর্বক হত্যা করিয়া অন্যত্রে বডি সরিয়ে রেখেছে। এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী আকবর আলী গত ০৬-০১-২৫ ইং তারিখ সাতক্ষীরা সদর থানায় বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় হালিমা খাতুনের বাবা আকবর আলী পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয় সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শামিনুল হক জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।