যশোরের অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠানের অজুহাতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ-লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠান, যেমন বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করার জন্য শিল্প বানিজ্য নগর নওয়াপাড়া বাজারের বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ও বেসরকারি সার কয়লা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে অনুষ্ঠানের অজুহাতে লাখ-লাখ টাকা আদায় করা হয়। কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধার্য্যকৃত টাকা দিতে না চাইলে তার উপর পড়ে মরার উপর খাড়ার ঘা। যেমন টাকা দিতে না চাইলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাসহ বিভিন্ন হয়রানি করার হুমকি দিয়ে ধার্য্যকৃত টাকা আদায় করা হয়ে থাকে। ফলে অহেতুক মামলা জরিমানাসহ হয়রানি থেকে বাঁচতে ওই সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো টাকা দিতে বাধ্য হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানান, উপজেলা প্রশাসন তাদের রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠান পরিচালিত করবে সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা কেন টাকা দিবো এটার উত্তর পায়না। উপজেলার পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় অনুষ্ঠানের অজুহাতে আমাদের থেকে লুটে নেওয়া হয় লাখ লাখ টাকা। আপনারা অবৈধ ভাবে টাকা কেনো দেন জানতে চাইলে তারা জানান, টাকা না দিয়ে উপায় কি? টাকা না দিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বশিয়ে আমাদের হয়রানিসহ জরিমানা করে হয়রানি করার হুমকি দেওয়া হয়। যে কারনে বাধ্য হয়ে তাদের দাবিকৃত টাকা আমাদের দিতে হয়। কোন ঝামেলা যাতে না হয়। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে নওয়াপাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ কয়লা, সার ব্যবসায়ীদের থেকে কয়েক লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে ওইসব বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠান থেকে সুকৌশলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে টাকা গ্রহন করা হয়। অন্যদিকে নওয়াপাড়া সার-কয়লা ব্যবসায়ীদের কাছথেকে সুকৌশলে উপজেলা পরিষদে চাকরিরত দুইজন কর্মকর্তার মাধ্যমে টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। জরুরি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকসহ কর্তৃপক্ষকে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠানে লাখ লাখ টাকা আদায় করা জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করার দাবি করেছেন ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, টাকা আদায়ের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা এরকম কোন তথ্য আমার কাছে নেই।