মানিকগঞ্জে জেলার দৌলতপুর উপজেলা চরকাটারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মন্ডল এর বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৭৯৫ জন রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । এর প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান ও সচিবের জন্মনিবন্ধনের আইডি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কাজে সহায়তাকারী পরিষদের উদ্যোক্তা নিজের দোষ স্বীকার করে জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছে বলে জানা যায়। জেলার স্থানীয় সরকার অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরকটারী ইউনিয়নে ৭৯৫ জনের অবৈধ জন্ম নিবন্ধন হয় গত ১০ মাসের মধ্যে। ওই জন্ম নিবন্ধন গুলোর বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেওয়া হলে জন্মনিবন্ধন গুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদের অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী মন্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কম্পিউটারের কাজ তেমন বুঝেন না। পরিষদের উদ্যোক্তা জলিলের কাছে তার জন্মনিবন্ধনের আইডির পাসওয়ার্ড থাকত। সেই সুযোগেই উদ্যোক্তা জলিল এরকম অবৈধ জন্মনিবন্ধন করেছে।স্থানীয় লোকজনের মধ্যে এ বিষয়ে চাপা উত্তেজান বিরাজ করছে। যাচাই বাছাই না ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী মন্ডল মোটা অংকের টাকার বিনিময় জন্ম নিবন্ধন দিয়েছে চরকাটারী বোর্ডঘর গ্রামের বাসিন্দা ওয়াজ উদ্দিন বলেন, ৭৯৫ জনের যে জন্ম নিবন্ধন হয়েছে, তারা কেউ আমাদের এলাকার বাসিন্দা না। চেয়ারম্যান, সচীব ও উদ্যোক্তারা টাকার বিনিময়ে অবৈধ জন্মনিবন্ধন করেছ। ইউপি সদস্য মোঃ জয়েদালি মোল্লা বলেন, ৭৯৫ জনের অবৈধ এ জন্ম নিবন্ধন হওয়ায় আমাদের চরের মানুষের ক্ষতি হবে। এর দায় চেয়ারম্যান, সচীব ও উদ্যোক্তা এড়াতে পারে না।প্রসঙ্গতঃ চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘদিন কোন সচীব ছিল না। উপজেলার বাচামারা ইউনিয়নের সচীব আলমগীর হোসেন অতিরিক্ত দায়িত্ত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ২০ নভেম্বর নতুন সচীব মোঃ সেলিম দায়িত্ব গ্রহনের পরই বিষয়টি সবার নজরে আসে এবং তিনি নিজ দায়িত্বে ইউএনও কে অবগত করেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) আহসানুল আলম জানান, আমরা ইতোমধ্যেই চেয়ারম্যানের ও সচিবের নিবন্ধন আইডি বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয় তদন্ত করছি। যাচাই করে ব্যবস্থা নিব।