শিক্ষার জন্য এসো- সেবার জন্য বেড়িয়ে যাও। শিক্ষা অর্জনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য আর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অপরিহার্য ৷ এ রকমই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চৌহালী এস,বি,এম কলেজ। দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে সে ভূমিকা নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলীরা।
চৌহালীতে শিক্ষা-দীক্ষায় নারী সহ যুব সমাজ অনেক পিছিয়ে ছিল। চৌহালী উপজেলাকে নিরক্ষর মুক্ত সমাজ ও শিক্ষা আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে একঝাঁক দানবীর ও সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলীরা শিবির নামক একটি বালুর চর, খাষকাউলিয়া মৌজায় এ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন।
উপজেলায় পিছিয়ে পড়া নারীদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রত্যন্ত পল্লীতে অপুর্ব প্রকৃতিক শোভা সৌন্দর্যের মাঝে আদর্শ বিদ্যপীঠ ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন মিরকুটিয়া ইউনিয়নে (খাষকাউলিয়া গ্রামে) এ প্রতিষ্ঠা করা হয় চৌহালী এস বি এম মহিলা কলেজ । পরে এটিকে চৌহালী এস বি এম কলেজ করা হয় ৷ চৌহালীতে শিক্ষার অগ্রদূত (বিদ্যাপিঠ)ও সাফল্যের ২৬ বছর এস বি এম কলেজের। প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ৪টি টিন-সেট সেমিপাকা ঘর, জাতির উন্নয়ন, মেধা ও শতভাগ ফলাফলে সাফল্য অটুট রাখতে দরকার অবকাঠামো (ভবন) নির্মাণ শিক্ষার মানোন্নয়নে বিজ্ঞানের সকল যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, বাউন্ডারি, খেলার মাঠ ও বি,এ (ডিগ্রি)পর্যন্ত পাঠদান। কলেজের চারপাশে সবুজ শ্যামলের সমারোহ যা শিক্ষার্থীর মনকে পাঠে মনোযোগী করে তোলে। এ কলেজে ৩২ জন শিক্ষক কর্মচারি ও পাঠদানে প্রায় ৩.শ শিক্ষার্থী রয়েছে। সাধারণ শিক্ষাসহ কলেজের বৈশিষ্ট্য, মেধাবী শিক্ষার্থী, সু-দক্ষ শিক্ষক,সুযোগ্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ, বিজ্ঞ কলেজ পরিচালনা পরিষদ এলাকার সূধীজন এবং প্রতিষ্ঠাতাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চৌহালী এসবিএম কলেজটির মূলমন্ত্র। এখন এ কলেজে ডিগ্রি পর্যন্ত পাঠদানের দাবি শিক্ষার্থীদের।
যমুনা নদীর চরাচঞ্চলে ঝরে পরা শিক্ষার্থী ও কিশোর কিশোরীদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্র ছাত্রীদের কষ্ট লাগবে এ কলেজটিতে বি,এ পর্যন্ত পাঠদান বাস্তবায়ন ও নামকরণ দেখতে চায় চৌহালী বাসি। এ কলেজ সুনাম এর সাথে পড়াশোনা করে সুশিক্ষিত সুনাগরিক হয়ে প্রতিষ্ঠানের নাম রাখতে চান শিক্ষার্থীরা। তারই আলোকে একাদশ থেকে বি,এ, ডিগ্রি পর্যন্ত পাঠদানে সংশ্লিষ্ট ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজর একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন ছাত্র, অভিভাবক, সচেতন মহল ও শিক্ষাক মন্ডলীরা। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এ কলেজটি এইচ এসসি ও (বি,এ) ডিগ্রি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে সুনাম রয়েছে। ২০২৪ সালে এইচ এস সি পরীক্ষায় ১৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ গ্রহণ করেন, ৫জন এ- প্লাসসহ সন্তষ্টজনক ফলাফলে উত্তীর্ণ ৷ আমরা অবহেলিত জনগোষ্ঠী ভাল কলেজে পড়াশোনার অর্থ নেই তাই এ কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করতে চাই।
এ কলেজের রসায়ন বিভাগের সহ অধ্যাপক শাহানারা লিপি বলেন, সুদক্ষ অধ্যক্ষের সার্বিক প্রচেষ্টায় এবং শিক্ষকদের সহযোগিতায় অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় সন্তষ্টজনক ফলাফলে উত্তীর্ণ এবং ৫ জন জিপিএ- ৫ পেয়ে কলেজের সুনাম রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
আলহাজ্ব মাওঃ মো, আশরাফ আলী বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলাধীন খাষকাউলিয়া ইউনিয়নে যমুনা নদীর পুর্ব তীর ঘেষা অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে অবস্থানরত সামাদ, বেল্লাল, মজিবর বিদ্যাপিঠ কলেজটি। সাজানো গোছানো পরিপাটিতে ঘেরা বিদ্যাপিঠ নদী গর্বে চলে গেছে একাধিকবার। বর্তমান কলেজটি নাগরপুর- শাহজানী সড়কের পাশে চৌহালীর খাষকাউলিয়া মৌজায় অবস্থানরত। নিয়মিত পাঠদান ও সন্তষ্টজনক ফলাফল যা- মনোমুগ্ধকর। অরাজনৈতিক শিক্ষা অঙ্গন ও শিক্ষার মানোন্নয়ন পরিবেশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আলোয়ায় আলোকিত কলেজ ক্যাম্পাস।
চৌহালী এস বি এম কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, দক্ষিণ পুর্ব এশিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশ। আর একটি দেশের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার। আধুনিক উপজেলা ও নিরক্ষর মুক্ত সমাজ গঠনে সিরাজগঞ্জের দক্ষিণ অঞ্চল নদী বেষ্টিত পল্লীতে যমুনা নদীর পার ঘেষা অপরুপ প্রকৃতিক শোভা সৌন্দর্যের মাঝে অবস্থানরত চৌহালী এস বি এম কলেজটি। আদর্শ বিদ্যপিঠ হিসেবে স্বল্প সময়ে শিক্ষা বিস্তার যুগোপযোগী ভূমিকা রাখছে সাধারণ শিক্ষায়। নকল মুক্ত, রাজনীতি মুক্ত ও ধুমপান মুক্ত কলেজটি। শিক্ষানুরাগী পরিশ্রমি আত্ম প্রত্যয়ী নিরক্ষর মুক্ত উপজেলা গঠনে মরহুম বেল্লাল উদ্দিন সরকার, আঃ সামাদ ও মজিবর রহমান, সাবেক এমপি মরহুম অধ্যাপক শাহজাহান ও সাবেক অধ্যক্ষ আঃ কাদের এর প্রচেষ্টায় সার্বিক তত্বাবধানে ও এলাকা বাসির সহযোগিতায় কলেজটি ১৯৯৮ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দেশের বিত্তশালী ব্যক্তিগণ যদি অনুরূপভাবে শিকার পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসেন তাহলে জাতি শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে। তাই অবহেলিত জনগোষ্ঠীর দাবি পুরণে ডিগ্রি কলেজ নামকরণ, বাস্তবায়ন ও নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তফা কবির বলেন, এ শিক্ষা অঙ্গনে দায়িত্ববান অধ্যক্ষ, শিক্ষক সহ দক্ষ জনবল রয়েছে, তারই আলোকে চলছে পাঠদান। ফলাফল সন্তষ্টজনক, আমি এ প্রতিষ্ঠানের সাফল্য কামনা করছি।