একাধিক নাটক সিনেমায় কাজ করা অভিনেতা এখন এডওয়ার্ড কলেজ গেটের দারোয়ান। বলছি পাবনা শালগাড়িয়া মহল্লার অভিনেতা গোলাম ফারুক প্রিন্স যুবরাজের কথা।
অভিনেতা যুবরাজ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও অভিনয় শিল্পী সংঘের একজন সদস্য। তিনি, ২০০৫ সালে মনোয়ার খোকন পরিচালিত পাওয়ার সিনেমায় নায়কের বন্ধু চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এরপরে মোট আটটি চলচ্চিত্র, পাঁচটি বিজ্ঞাপন, একটি ডকুমেন্টারি, শতাধিক নাটকে অভিনয় করেন এই অভিনেতা। একসময় পুরোদমে অভিনয়ের মধ্যে থাকলেও বাস্তবতার নির্মম পরিহাসে এখন তিনি অসহায়। তিনি অভিনয়ের টানে একসময় ঢাকাতে থাকলেও অর্থের অভাবে সেটি আর সম্ভব হয়নি। বর্তমান পাবনার শালগাড়িয়া মহল্লার পৈতৃক বাড়িতে বসবাস করছেন তিনি।
প্রিয় পেশা ছেড়ে হয়েছেন দারোয়ান। বর্তমানে পাবনা এ্যাডওয়ার্ড কলেজে মাস্টার রোলে দারোয়ান হিসেবে কাজ করছেন এই অভিনেতা। হাতে নাটক, সিনেমার কাজ না থাকায় বাধ্য হয়েই এই পেশায় জড়িয়েছেন তিনি। এই চাকরি করে যে সামান্য অর্থ পান তিনি, তা দিয়েই কোনোরকমে চলছে তার সংসার। এক প্রকার মানবেতর জীবনযাপনই করছেন তিনি। কারণ দারোয়ানের চাকরিটিও এখনো স্থায়ী হয়নি তার। তিনি ঢাকা কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে পড়ালেখা শুরু করলেও পরে পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে এডওর্য়াড কলেজ থেকে বিএসএস পাশ করেন তিনি। এখন আর অভিনয়ে কেউ ডাকেন না তাকে। ডাকলেও পারিশ্রমিক খুবই সামান্য হওয়ায় গাড়ি ভাড়াতেই সব শেষ হয়ে যায়।
এ সম্পর্কে গোলাম ফারুক যুবরাজ বলেন, অভিনয়ের জন্য আমি অনেক কিছু ত্যাগ করেছি। দুই-তিন মাস পর একটি-দুটি কাজ আসে। পারিশ্রমিক যা পাই তা গাড়ি ভাড়া দিতেই প্রায় শেষ হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই দারোয়ানের কাজ করছি। এতে আমার দুঃখ নেই। এই চাকরিটিও যদি পার্মানেন্ট হতো তবুও কষ্ট কিছুটা কমত। এ ছাড়া নিয়মিত অভিনয়ের কাজটি যদি থাকত, তাহলেও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারতেন বলে জানান তিনি।