সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

অভয়নগরে লাখ টাকা হাতিয়ে উধাও প্রতারক চক্র

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর(যশোর):
আপডেট সময়: শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ৫:৪৯ অপরাহ্ণ

যশোরের অভয়নগরে পল্লীগ্রাম মুরগী ফার্ম এন্ড হ্যাচারী নামে গ্রাম অঞ্চলের শত শত দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে প্রতারক চক্র। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, পল্লীগ্রাম মুরগী ফার্ম এন্ড হ্যাচারী নামে কাগজপত্র তৈরি করে নওয়াপাড়া মডেল স্কুলের পিছনে অফিস ঠিকানা ব্যবহার করে গ্রামের শত শত নারী পুরুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে প্রতারক চক্র। ফলে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো পড়েছে চরম বিপাকে। একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, অভয়নগরে মোজাম্মেল নামে এক প্রতারক উল্লেখীত কোম্পানির নাম ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তারা জানান, ওই প্রতারক আমাদের কে লোভ দেখায় যে ওই প্রতিষ্ঠানের একজন ডিলার হতে হবে, ডিলারের কাজ হলো গ্রাহক তৈরি করা ৩০ জন গ্রাহক তৈরি হলে ডিলার প্রতিমাসে ৫০০০ হাজার টাকা করে তিনমাস বেতন পাবে। মুরগী ডিম দেওয়া শুরু করলে ডিলার প্রতি মুরগী থেকে ১০ টি করে ডিম পাবে। বিনিময়ে একজন গ্রাহকের ২০০ টাকা করে জমা দিতে হবে। ওই ২০০ টাকা জমা দিলে একজন গ্রাহককে একটি ঘর ও মুরগীসহ একটি ফার্ম করে দেওয়া হব। এমন কথা ও প্রলোভণে পড়ে বহু মানুষ গ্রাহক হয়েছে। এবং ওই সুযোগে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারক চক্র উধাও হয়ে গেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় ওই নামে উপজেলার নওয়াপাড়ার সহরের বিভিন্ন জাগা সাইনবোর্ড ব্যানার টানিয়ে করা হয়, এমন অভিনব প্রতারণা। কিন্তু ওই কোম্পানির কোন নিদিষ্ট অফিস ভাড়া নেওয়া ছিলোনা। তাদের রেখে যাওয়া একটি কাগজে দেখা যায়। ওই নামের প্রতিষ্ঠানের প্রোঃ মোছাঃ সালমা বেগম নামের একজন যার প্রধান কার্যালয় গঙ্গাচড়া নিলকচন্ডী রংপুর। দেখা যায় বেশকিছু মোবাইল নম্বর ০১৭৩৫৫০৪২৬৭/০১৩০২৯৪৩২০৪/০১৭৭৫২৬৮৮৭১/০১৭৭৫৩৭৪৭২৬। সবকয়টি মোবাইল ফোন বন্ধ করা। ফলে প্রতারক চক্রের কারো সাথে গ্রাহকরা যোগাযোগ করতে না পেরে সকল দরিদ্র মানুষ গুলো চরম আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। উপজেলার বাশুয়াড়ী গ্রামের নাসরিন সুলতানা বলেন, মোজাম্মেল নামে ওই ব্যক্তি আমার বাড়ি একাধিক বার এসে আমার চাকরির কথা বলে আমার মাধ্যমে শতাধিক গ্রাহক তৈরি করিয়ে আমার থেকে প্রাই ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে এখন সব ফোন বন্ধ আমি খুবই আতংকিত আমি পড়েছি বিপাকে। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই, কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর