টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ৪৫২ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলেন নাগরপুরের সরকারি যদুনাথ মডেল স্কুল ও কলেজ এ-র এসএসসি ২০০৯ ব্যাচের ছাত্র এবং মেঘনা উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো.পারভেজ আহমেদ।তার নিকট প্রার্থী সলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো.আতোয়ার রহমান ৩৫০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।নব নির্বাচিত এই শিক্ষক নেতার বাড়ি নাগরপুর উপজেলা মামুদনগর ইউনিয়নে। তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ইংরেজী সাহিত্যের উপর অর্নাস ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।এছাড়াও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত একটি আইন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
গত শনিবার উপজেলা পরিষদ হল রুমে সকাল ৯টা হতে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ৮৮৭ জন ভোটারের মধ্যে ৮২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
দায়িত্ব পাপ্ত নির্বাচন কমিশন তথ্য মতে দুটি প্যানেলে সভাপতি পদে ৩ জন, নির্বাহী সভাপতি পদে ২ জন সিনিয়র সহ-সভাপতি(পুরুষ) পদে ৩ জন,সিনিয়র সহ সভাপতি(মহিলা) পদে ২ জন,সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন,নির্বাহী সম্পাদক পদে ২ জন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক(পুরুষ)২ জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২ জনসহ ৩৬ টি পদে মোট ৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন।
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও শহীদ শামস উদ্দীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুল আলীম বলেন-আনন্দ ঘন পরিবেশে সুষ্ট ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।ভোট গ্রহন করার জন্য একটি কেন্দ্রসহ ১৪ টি বুট স্হাপন করা হয়েছিল। ৩৬ পদে ৭২ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। রাতে ভোট গণনা শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করা হয়েছে।
বিপুল ভোটে নির্বাচিত পারভেজ আহমেদ বলেন-আমি যেন শিক্ষকেদের খেদমতে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি এবং শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকের যে মর্যাদা আমি যেন তা দিতে পারি এটাই হল আমার মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন-যারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদেরকে জানাই অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন আমাকে সততা এবং ন্যায় নিষ্ঠার সাথে কাজ করার সুযোগ করে দেন,আমিন।
উল্লেখ্য,নাগরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি মো.হোসেন মিয়া,নির্বাহী সভাপতি মো.ওয়াহিদুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেম (রলে),নির্বাহী সম্পাদক মো.মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন পদে ৩৬ জন প্রার্থী বিজয়ী হন।