মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের অনলাইন মিটিং থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান স্বাস্থ্যের ডিজির পদত্যাগের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করে সৎ ও যোগ্যদের দিয়ে গোটা স্বাস্থ্যখাত ঢেলে সাজান। পদত্যাগী ডিজিকে গ্রেফতার করে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি আর জালিয়াতির বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করুন; অপরাধীদের শাস্তি দিন অনতিবিলম্বে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছান

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০, ৫:৪৫ অপরাহ্ণ

নির্মল বড়ুয়া মিলন:

আজ সকালে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের অনলাইন মিটিং এ নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির পদত্যাগের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করে সৎ ও দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন মহামারী মোকাবেলা ও মহামারী থেকে উত্তরণে স্বাস্থ্য খাতকেই নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। তারা বলেন, করোনা মহামারীকালে গোটা স্বাস্থ্যখাত যেভাবে চুরি, দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও জালিয়াতির লীলাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে তার প্রধান দায়দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এই দায়দায়িত্ব থেকে তাদেরকে নিস্কৃতি দেবার কোন সুযোগ নেই। তারা বলেন, স্বাস্থ্যের ডিজি’র পদত্যাগ কোন শাস্তি নয়। তারা অনতিবিলম্বে ডিজি আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করে সমগ্র স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাখাতের চুরি-দুর্নীতি-জালিয়াতির বিশ^াসযোগ্য তদন্ত এবং সকল দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এই খাতের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই করোনার পরীক্ষা, কেনাকাটা ও চিকিৎসা নিয়ে নজিরবিহীন প্রতারণা ও দুর্নীতি সংঘটিত হতে পেরেছে, তাদের নিস্ক্রিয়তা ও ছত্রছায়ায় সাহেদ, সাবরিনা ও আরিফদের মত মহাপ্রতারকেরা স্বাস্থ্যখাতকে দুর্নীতির লীলাক্ষেত্রে পরিণত করতে পেরেছে। গত জুন মাসে সাহেদের ভুয়া করোনা পরীক্ষা ও প্রতারণা সম্পর্কে ডিজি আবুল কালাম আজাদ অবহিত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে  কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তারা বলেন, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সাথে যোগসাজস থাকার কারণেই বেপরোয়া জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের করোনা আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে; এদের ভুয়া রিপোর্টের কারণেই ইতালীসহ বিভিন্ন দেশে অভিবাসী বাংলাদেশীরা চরম নিগ্রহের মধ্যে পড়েছে এবং দেশের ক্ষয়ে যাওয়া ভাবমূর্তি আরো তলানীতে যেয়ে ঠেকেছে। তারা বলেন, এই পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব আবশ্যিকভাবে শেষ পর্যন্ত সরকারকে বহন করতে হবে। তারা বলেন, দায়সারা পদক্ষেপ ও প্রচারসর্বস্ব বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যাবে না।

ভার্চুয়াল মিটিং এ নেতৃবৃন্দ দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, করোনা দুর্যোগে বেসামাল সরকার বন্যা পরিস্থিতিও মোকাবেলা করতে পারছে। মহামারী মোকাবেলায় তারা যেমন ব্যর্থ তেমনি বন্যার্তদের রক্ষা, লক্ষ লক্ষ বানভাসি মানুষের কাছে খাদ্য, ত্রাণ, নগদ অর্থ প্রদান ও তাদের পুনর্বাসনেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। এক তৃতীয়াংশ জেলা বন্যা কবলিত হলেও বন্যার্ত ৯০ শতাংশ মানুষই সরকারি মনযোগ ও ত্রাণ তৎপরতার বাইরে। তারা বলেন, খোদ রাজধানীর জলাবদ্ধতা নগরের ৩০/৩৫ লক্ষ মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। তারা বলেন, সরকারের নগর উন্নয়ন তৎপরতা এখন জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত। তারা অবিলম্বে বন্যার্তদের রক্ষা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকরি পদক্ষেপ নেবার দাবি জানান।

পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে এই অনলাইন মিটিং এ রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু ও আনছার আলী দুলাল বক্তব্য রাখেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর