মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ঝালকাঠির রাজাপুরে বিদ্যালয়ের সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের দাবীতে মৌন মিছিল

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বুধবার, ২২ জুলাই, ২০২০, ৫:৪২ অপরাহ্ণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

“স্কুল বাঁচলে বাঁচবে শিক্ষা” এমন স্লোগান নিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করে ঝালকাঠির রাজাপুরের শত বছরের ঐতিহ্যবাহি রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের দাবী, অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে কালো ব্যাচ ধারণ করে প্রতিবাদী মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী বৃন্দ এবং সচেতন রাজাপুর বাসীর আয়োজনে ১১ দফা দাবী নিয়ে বুধবার (২২জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে এ প্রতিবাদী মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের সহা¯্রাধিক মানুষ মুখে কালো কাপড় বেঁধে মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলটি রাজাপুর প্রেস ক্লাব চত্তর থেকে শুরু করে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ চত্তরে গিয়ে শেষ হয়।
আন্দোলনকারীরা জানায়, বিদ্যালয়ের প্রায় ৯ একর সম্পত্তি থাকা সত্যেও মাত্র ৬৭ শতাংশ জমিতে ৫টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এই বিপুল সম্পত্তির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহলের। তারা সম্পত্তি আত্মসাৎ করতেই বিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সংকুচিত করে একটি কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত করেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের সাহ স্রাধীক শিক্ষার্থীদের পিটি-প্যারেড করার জায়গাটুকুও নেই। বিদ্যালয়ের সম্পত্তি বিভিন্ন সময় বেআইনিভাবে লিজ দিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজোশে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে প্রভাবশালী ওই মহলটি। তাই গত দুইমাস ধরে বিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারের আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। এর আগেও মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর কর্মসূচিসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।

মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগ’র সহ সভাপতি বাবু সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: শাহ আলম নান্নু, সাবেক অধ্যক্ষ শাহজাহান মোল্লা, উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি নাজনীন পাখি। তারা আন্দোলন কারীদের সাথে ১১ দফা দাবীতে একাত্ততা প্রকাশ করেন।

বক্তারা বলেন, উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সুদীর্ঘ প্রায় ৯৪ বছর যাবৎ গৌরব ও ঐতিহ্য নিয়ে এ অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে আসছে। কালের বিবর্তনে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ লীজ প্রদান ও বেদখলের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের জায়গা সংকুচিত হয়েছে। তাই বিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করতে হবে। বিদ্যালয়ের এক ইঞ্চি জমিও বেদখলে থাকা চলবে না। প্রয়োজনে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বাঁচাতে আমরা প্রধান মন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত যাবো। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে যদি তৎপর না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর