আলহাজ্ব মরহুম মাও: আকতারুজ্জামান হুজুর যিনি ছিলেন একজন শিক্ষক,ঈমাম , বক্তা,মাসয়ালাবীদ ,আমিন ,বোডিং পরিচালক,মসজিদের ক্যাশিয়ার .একজন যোগ্য,দক্ষ ,মেধাবী ,ন্যায় পরায়ন,সাদা মনের প্রকৃত খোদাভীরু ,আমানতদার .
*মরহুম মাদ্রাসা এবং জেনারেল বোর্ড থেকে ডিগ্রি অর্জন করে প্রথমে আরিফপুর মাদ্রাসা এবং পরবর্তীতে ধুলাউড়ি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন .সম্ভাব্য ১৯৭৯ সালে তিনি হজ্বের উদ্দেশ্যে জাহাজে করে পবিত্র মক্কা নগরীতে গমন করেন .তিনি বলেন জাহাজ ভারা ছিল ১৭৫৭০ টাকা .একটি পা তার ক্ষুরা থাকলেও তিনি তুর পাহারে উঠেছিলেন যা দেখে উপস্থিত হাজিরা আল্লাহু আকবার ধনী দিয়েছিলেন .
*মরহুম ধুলাউড়ি মাদ্রাসার নিবেদিত প্রান ছিলেন শিক্ষকতার সাথে তিনি বোডিং পরিচালনা করতেন .মাদ্রাসার লিখিত দান উঠাতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যেতেন .এলাকাবাসীর কাছে তিনি বিশ্বস্ততার প্রতিক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন! শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসরে যাওয়ার পর মৃত্যুর আগ দিন পর্যন্ত এ দায়িত্ব তিনি সততার সাথে পালন করেন!
*লক্ষীপুর মসজিদের ঈমাম এবং ক্যাশিয়ার হিসেবে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন .মসজিদে জুমার দিনে তিনি মাদ্রাসার ছাত্রদের ঈমামতির জন্য পাঠাতেন যাতে তারা শিখতে পারে .এই তালিকায় উপজেলা চেয়ারম্যান মাও: মোখলেছুর রহমান সহ হাজারো শিক্ষার্থী.যিনি মসজিদ ঝাড়ু টিউবওয়েলের পার পরিষ্কার করতেও দিধা করতেন না .
*তিনি জমি মাপার কাজ করতেন .বয়সে শরীর দুর্বল হয়ে গেলেও মানুষের আগ্রহ তাকে এ কাজ থেকে সরাতে পারেনি .
*একজন মাসয়ালাবীদ হিসেবে এলাকায় তার যতেষ্ট সুনাম ছিল। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ তার কাছে আসত .কোন দিন তাকে বিরক্ত হতে দেখেনি .
*একজন মাওলানা হিসেবে তার জুড়ি নেই .আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে তিনি সব সময় সত্য সঠিক কথাই বলতেন . তিনি বলতেন ওয়াজ করে টাকা চাইনা কুরআন হাদিসের কথা বলতে পারি এটাই শান্তি এটাই সার্থকতা!
*ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সাদামাটা জীবন যাপন করতেন .তিনি চাকচিক্যময় জীবন যাপন পছন্দ করেননি .তিনি গোপনে গরীব অসহায়দের অর্থ দান করতেন ! নিয়মিত তিনি কুরআন পাঠ এবং জামাতে নামায আদায় করতেন .
*তার মৃত্যুতে স্ত্রী হারিয়েছে একজন পরহেজগার স্মামী .