শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

দুর্নীতি ঢাকতে ফেসবুকে সাংবাদিকের নামে অপপ্রচার

স্টাফ রিপোর্টার:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১:১০ অপরাহ্ণ

পাবনা সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খান নিজের দুর্নীতি, অনিয়ম, অপকর্ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কথা ঢাকতে নিজের কেডার বাহিনী দিয়ে সাংবাদিকদের নামে ফেসবুকে অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারের দেওয়া কৃষি প্রণোদনা সার বীজ, গৃহহীনদের ঘড়, ভিজিডি, ভিজিএফএর চাউল সহ সরকারী সকল ভাতা প্রদানে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। এ সকল অভিযোগের পেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি স্থানীয় জাতীয় পত্রিকা সহ বিভিন্ন মিডিয়ার তার দুর্নীতির খবর শিরোনাম প্রকাশ হলে উক্ত দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের উপর ফুলে ফুসে উঠে ফেসবুকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এবং সে সাংবাদিকদের নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ছদ্ধনামধারী ফেসবুক একাউন্ড থেকে ভুয়া তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালায়। তার বিরুদ্ধে পাবনার একজন সিনিয়র সাংবাদিক লাজুকের নামে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে । এ ব্যাপারে সাংবাদিক লাজুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ফিরোজ চেয়ারম্যানের সকল অপকর্ম করার বিরুদ্ধে নিউজ করার কারণেই এসব ভুয়া আইডি খুলে সাংবাদিকদের নামে গুরু উরুচিশীল মন্তব্য করছে। আমি চেয়ারম্যান এর কাছে আমার বিরুদ্ধে কেন অপপ্রচার মিথ্যা বানোয়াট ফেসবুকে ছড়াচ্ছেন জানতে চাইলে, তিনি আমাকে মুঠো ফোনে হুমকি ধামকি দেন , তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে যে নিউজ করবে সে সকল সাংবাদিকদের মেরে ফেলার ভয় দেখায়। তিনি আরো বলেন সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনকে দিয়ে সকল সাংবাদিকদের শায়েস্তা করাবে বলে ভয় ভীতি দেখায়। ইতিপূর্বে চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খান সুজানগর উপজেলার ৯ টি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তখনকার সুজানগর ইউএনও রওশন আলম সাহেবের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করেন । এ বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খানের বিরুদ্ধে সুজানগর উপজেলার ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং তার এ অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। দুর্নীতিবাজ চেয়ানম্যান ফিরোজ আহমেদ খান তার খোলশ পাল্টিয়ে সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করেন, কৌশলে তার অপকর্ম স্বীকার করে গোপনে সকল চেয়ারম্যানদের নিকট ক্ষমা চায় , এর ফলে তার অপকর্মের বিষয়টি ধামা চাপা পড়ে যায়। এ রকম একের পর এক অপকর্ম দুর্নীতি, অনিয়ম, ও গুণীব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না হওয়ার তার অপকর্ম আরো বাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের আসা সকল সরকারী ভাতা ও জনগণের হোক না দিয়ে তিনি মেরে খাওয়া শুরু করেন। এর আগে সে প্রধানমন্ত্রী দেওয়া গুচ্ছগ্রামের ঘড় প্রদান নিয়েও ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম করেছেন। জানা যায় সরকারের দেওয়া আশ্রয়হীনদের ঘড়গুলো প্রকৃত অসহায়, দুঃস্থ, গৃহহীনদের না দিয়ে সে তার ইচ্ছামত তার নিজের লোকজন তার ভাইয়ের নামে এবং স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যেমে তার আত্মীয়স্বজনদের নামে সকল গৃহহীন ভূমি হীনদের ঘড় প্রদান করেন। এতে প্রকৃত ভূমিহীন গৃহহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহার গুচ্ছগ্রামের ঘড় পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন । এ ছাড়াও হাটখালী ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যক্তি অভিযোগ করেন, ফিরোজ চেয়ারম্যান একাধিক বিবাহ করার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীকে মারধর ও মানসিক শারীরিক নির্যাতন করায় প্রথম স্ত্রী মারা যায় ।

জানা যায় প্রথম স্ত্রীকে তার পছন্দ না হওয়ায় মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এলাকাবাসী আরো জানান দ্বিতীয় স্ত্রী বগুড়ায় থাকায় গ্রামের বাড়িতে নারি কেলেঙ্কারি সহ মদ গাজার আড্ডা চালিয়ে আসছেন । স্থানীয়রা আরো জানান নির্বাচনের আগে ফিরোজ আহমেদ খান কোথায় থেকে একটি মেয়েকে এনে ধর্ষণ করে হত্যা করে বাড়ির পাশে ঢুবায় বস্তা বেঁধে ডুবিয়ে দেন, কিছুদিন গেলে মেয়েটির লাশ ভেসে ওঠে বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয় এবং অর্থ দিয়ে মামলাটি ধামা চাপা দিয়েছে । হাটখালী ইউনিয়নের সচেতন ও শুধিজন বলেন গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একটি নেশাখোর মাস্তান বাহিনী তৈরি করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রউফ কে হারিয়ে নির্বাচিত হন। তার নেশাখোর বাহিনীর কারণে তার বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ দিতে সাহস পায় না । দিন দিন অপকর্ম করতে করতে এই চেয়ারম্যান ফিরোজ হাটখালী বাসীর নিকট এক আতঙ্কের নাম হয়ে দাড়িয়েছে। এ দিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের নিউজ হলে চেয়ারম্যানের ক্যাডার ফেসবুকে এস এম মুন্নাফ হাসান নামে একটি ফেসবুক থেকে একটি ছবি পোষ্ট করে ফিরোজ চেয়ারম্যানের কেডার বাহিনী সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য ও হুমকি দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে । এ রকম ফেসবুক অপরাধীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ এ সকল অপকর্মের মূল হোতাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সেই সাথে অভিযুক্তদের খুজে বের করে আইনুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পাবনার সকল সাংবাদিক মহল। হাটখালি সুশীল সমাজের দাবি এই ফিরোজ দুর্নীতিবাজ চেয়ানম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমের তার বিরুদ্ধে সকল দুর্নীতি, অপকর্ম, অনিয়মগুলি ক্ষতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তার দুর্নীতি, অপকর্ম বেড়ে চলবে সাধারণ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্যদিকে ইউনিয়ন বাসি সকল সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর