সিরাজগঞ্জের তাড়াশে যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধুকে বেধরক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ঐ গৃহবধুর স্বামী তার স্ত্রীকে রাস্তায় রেখে পালিয়ে যায়। নির্যাতিত গৃহ বধূর নাম হাসি খাতুন।স্বামী জি এম খান। সে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের প্রতিরামপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। হাসি খাতুন তাড়াশ পৌর এলাকার উত্তর পাড়ার আব্দুল হান্নানের মেয়ে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে নির্যাতনের শিকার হাসি খাতুন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, এ বছরের মে মাসের ২২ তারিখে দুই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর আমার স্বামী আমাকে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে ঢাকায় চলে যান। সেখানে পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত শনিবার আমার শাশুড়ির গুরুতর অসুস্থতার কথা শুনে তাকে দেখার জন্য আমরা বাড়ি চলে আসি।
হাসি খাতুন অভিযোগ করেন, বাড়ি এসে দেখি আমার শাশুড়ি পুরোদমে সুস্থ। এরপর আমার শশুর ও শাশুড়ি মমেনা বেগম আমার কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু আমি সেই টাকা দিতে অপারগতা জানাই। পরে তারা আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বেড় করে দেন। আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার স্বামী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে প্রতিরামপুর থেকে বারুহাস যাওয়ার রাস্তার মাঝে প্রত্যন্ত এলাকায় বসিয়ে রেখে ভ্যানগাড়ি ডাকতে যায়। তারপর ফিরে আসেনি।
হাসি খাতুনের শশুর অভিযুক্ত আব্দুল জলিল বলেন, এখন বোরো মৌসুম। আবাদ করতে টাকা লাগবে। সেজন্য ধার স্বরুপ তার ছেলের বৌয়ের কাছে টাকা চেয়েছেন। তবে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি ও তার স্ত্রী মমেনা বেগম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রতিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা চান আলী বলেন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন মোটেও কাম্য নয়। উভয় পক্ষের অভিভাবকের সাথে আলোচনা করে মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিভাগীয় স্পেশাল কমিটির সভাপতি স্বপ্না চৌধুরী বলেন, সামাজিক মূল্যবোধ যাদের নেই তারাই কেবল যৌতুক দাবি করেন। প্রয়োজনে মানবাধিকার সংস্থা নির্যাতিত গৃহবধূ হাসি খাতুনকে আইনী সহায়তা দেবেন।