যশোরের অভয়নগর ও মনিরামপুরের কুচলিয়া ও সুন্দলী বাজারে ভূয়া ডাক্তারের ছড়াছড়ি। সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন রোগের ডাক্তার নামের চিকিৎসকগণ বসে আছে রোগীর চিকিৎসা করার জন্য, এদের নেই কোন প্রশিক্ষিত সনদ ও নেই কোন সরকারি অনুমোদন। এরা বহালতবিয়তে মানুষের চিকিৎসা করছে, আর সাধারণ মানুষের সাথে গলাকাটা বানিজ্য লিপ্ত রয়েছে। বিভিন্ন ব্যানারে ডাক্তার লেখা অনুমতি না থাকলেও ডাক্তার লেখা সাইনবোর্ড দেখা গেছে, যা বেআইনি। সরকারি ভাবে দীর্ঘদিন মনে হয় দেখার কেউ নেই। এমন ভূয়া ডাক্তারের খপ্পরে পড়ে ঐ অঞ্চলের গ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এক ভুঁয়া ডাক্তার মনিরামপুর উপজেলার মৃত-দইয়াল মন্ডলের ছেলে সন্জায় মন্ডল(৪৮), তিনি প্রতিনিয়ত করে চলেছেন। সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা, নিজেকে অর্শ্বরোগ বিশেষজ্ঞ পরিচয়দানকারী ওই ডাক্তার নামের প্রতারক নিজে খুব গর্ব করে বলেন, আমি দীর্ঘদিন অর্শ্বরোগের চিকিৎসা করে থাকি, কেউ আমার কিছু করতে পারেনা। সাংবাদিকসহ সকলকে আমি টাকা দিয়ে এই ডাক্তারি করছি। আপনি যা ইচ্ছে লিখতে পারেন আমার কিছু হবেনা। ওই ডাক্তারের প্রতারণার শিকার হওয়া সুন্দলী গ্রামের পরিতষ দাস জানান, আমি অর্শ্বরোগের চিকিৎসা করার জন্য ওই ডাক্তারের কাছে গেলে আমার ২২হাজার টাকা নিয়েছে কিন্তু রোগ ভালো হয়নি বাধ্য হয়ে, আমি খুলনা এক ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছি। এবিষয়ে ওই অর্শ্বরোগ বিশেষজ্ঞ পরিচয়দানকারী সন্জায় মন্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো সাথে প্রতারণা করিনা, সরকারি কোন অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কোন সরকারি অনুমোদন নেই, কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণ আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন আমার কোন প্রশিক্ষণ লাগেনা।
এবিষয়ে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বলেন, এবিষয়ে আমার জানা নেই, আপনারা নিউজ করেন, আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব হবে।