শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০০ অপরাহ্ন

ই-পেপার

আগৈলঝাড়ায় ক্রেতার অভাবে ৪শ ৭২টি খামারের কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে মহাদুশ্চিন্তা

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০, ৬:০১ অপরাহ্ণ

রুবিনা আজাদ, আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
আসন্ন পবিত্র ঈদ-ইল-আযহাকে সামনে রেখে বরিশালের আগৈলঝাড়ার কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে ৪শ ৭২টি খামারে খামারিরা রয়েছেন মহাদুশ্চিন্তায়।

কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও লাভের আশায় খামারিরা তাদের গরু ও ছাগল পালন করে আসছিলেন। গো-খাদ্যর চড়া দামের মধ্যেও অনেক খামারি তাদের পশুর সুস্বাস্থ্যর জন্য অধিকহারে গবাদী পশুদের খাবার যোগান দিয়ে আসছিলেন। আবার অনেকেই দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটা-তাজা করন প্রকৃয়ায় গবাদী পশু পালন করেছেন। অনেক চাষী ঈদকে গবাদী পশুর মৌসুমী ব্যবসা হিসেবে গ্রহন করে তাদের খামারে এলাকা থেকে ছোট গরু কিনে লালন পালনের মাধ্যমে পরে বিক্রি করে লাভবানের চিন্তা করলেও এবছর ওই সকল খামারিদের মাথায় হাত পরেছে। ঘাস, খড়ের পাশাপাশি খৈল, ছোলা, ভ‚ষি, ডাল খাইয়ে গরু মোটা-তাজা করে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গবাদী পশুকে বছর জুড়ে খাবার খাওয়ালেও তাদের পোষ্য কোরবানীর পশু ন্যায্য মূল্য বিক্রি হবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম সংশয়। এখন পর্যন্ত খামারীদের খামারে গবাদী পশু বিক্রির জন্য কাক্সিখত কোন ক্রেতাই পাচ্ছেন না খামারিরা।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশুতোষ রায় জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৮শ ৭২টি গরুর খামারে গবাদী পশু পালন করা হতো। করোনা ভাইরাসের প্রভাব, গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও সংকটের কারনে এবছর অনেক খামার বন্ধ করে দিয়েছেন খামারিরা। এবছর অর্ধেক খামার বন্ধ হয়ে পবিত্র ঈদ-ই আযহা উপলক্ষে বর্তমানে ৪শ ৭২টি খামারে ৪৭হাজার ৫শ ৫০টি গরু, ১৩ হাজার ২শ ৭৫টি ছাগল, ৯শ ১০টি মহিষ, ৬শ ৪৫টি ভেড়া বিক্রির জন্য খামারিদের খামারে মজুদ রয়েছে।

অন্যদিকে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারনে সামাজিক সকল আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে মিষ্টির দোকানীরা দুধ না কেনায় দুগ্ধ খামারিরা তাদের খামারের গরুর দুধ বিক্রি করতে না পেরে চরম আর্থিক ক্ষতির মধ্যে তাদের পশু পালনে বাধ্য হচ্ছেন। দুধ বিক্রির টাকায় গবাদী পশুর খাবার সংগ্রহ করাই এখন তাদের জন্য দুরুহ হয়ে পরেছে।

অন্যান্য বছর আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন খামার থেকে বিক্রির উপযোগী পশু কিনতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা আসতো এলাকায়। এ বছর করোনার কারণে বিদেশী কোন পাইকার পাচ্ছেন না খামারিরা। পাইকার না আসা ও কোরবানীকে সামনে রেখে স্থায়ী কোন পশুর হাট না থাকায় খামারিরা তাদের পালন করা পশু বিক্রি নিয়ে পরেছেন মহা দুশ্চিন্তায়। উপজেলায় ঈদের আগে অস্থায়ীভাবে তিনটি পশুর হাট বসলেও ওই হাটগুলোতে খামারিরা তাদের পশুর কাক্সিখত ক্রেতা ও মূল্য পাবেন কি না তা নিয়েও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। দুশ্চিন্তার কারণে খামারিরা আর্থিক ¶তির মুখে পরে গবাদী পশুর খামার করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলেও জানান প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশুতোষ রায়।

প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশুতোষ বলেন, খামরিদের কথা চিস্তা করে ইতোমধ্যেই তারা অনলাইনে পশু বিক্রি শুরু করার কথা চিন্তা করছেন। পাশাপাশি খামারীরা যেন পশু মোটাতাজা করতে ¶তিকারক ইনজেকশন ও ট্যাবলেট ব্যবহার না করেন সে জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নজরদারী করছেন তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর