নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সোমবার জোড়া গোল করা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকারের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুরের দক্ষিণ পাথালিয়ায়
চলছে কৃষ্ণাকে বরণ করে নেওয়ার পালা, পুরো বাংলাদেশ কে জিতে ফিরছে কৃষ্ণা তাই গ্রামবাসী খুশিতে আত্মহারা, জয় উল্লাস দিচ্ছে বাংলাদেশ ও কৃষ্ণার গ্রামবাসী।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবার শিরোপা জিতল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কৃষ্ণা ওই গ্রামের বাসুদেব চন্দ দাস ও নমিতা রানী দাস দম্পতির মেয়ে।
কৃষ্ণার গ্রামে বুধবার গিয়ে দেখা গেছে, ছোট বড় সবার মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। নিভৃত পল্লির সাধারণ মানুষের মুখে মুখে খেলার খবর। সবাই গর্ব করে বলে বেড়াচ্ছেন, তিন গোলের মধ্যে দুই গোলই করেছে আমাদের কৃষ্ণা।
নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবিচল লক্ষ্য, অদম্য মনোবল ও দৃঢ়সংকল্প সঙ্গী করে কৃষ্ণা রানী পাড়ি দিয়েছেন স্বপ্নপূরণের পথ। তবে গ্রামে লোডশেডিং থাকায় নমিতা রানী মেয়ের খেলা দেখতে পারেননি। বাবা খেলা দেখেছেন অন্য গ্রামে গিয়ে। বোনের ভালো খেলার প্রার্থনায় ভাই পলাশ সারা দিন উপবাস ছিলেন।
নমিতা রানী জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে না পারলেও ছেলের মোবাইল ফোনে জয়ের কথা জেনে খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমার মেয়ের ফুটবল খেলা নিয়ে যারা একসময় কটাক্ষ করতেন তারাই এখন অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কৃষ্ণার মা আরো জানান কৃষ্ণার আয়ের অর্থ দিয়ে আমাদের পরিবার চলে।
বাসুদেব সরকার জানান, খেলা দেখে দারুণ খুশি হয়েছি। এলাকার মানুষ খেলা উপভোগ করেছেন। অনেকেই আনন্দে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন। শুধু তার গ্রামের ফেরার অপেক্ষায় গ্রামবাসী প্রহর গুনছে।
পল্লি বিদ্যুতের ডিজিএম মাজহারুল ইসলাম জানান, এখানে বিদ্যুতের ইউনিট কম পাওয়া যায়। তাই মাঝে মাঝে এলাকাভিত্তিক সংযোগ বন্ধ রাখতে হয়। সে কারণে হয়তো ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু জানান বিভিন্ন সময়ের খেলার সরঞ্জামাদি ও করার জন্য সহজে সহযোগিতা করেছি, কৃষ্ণর জয়ে পুরো বাংলাদেশ জয়ী। শুধু গোপালপুর নয় সারা বাংলাদেশের গর্ব আমাদের কৃষ্ণা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.পারভেজ মল্লিক জানান, কৃষ্ণা এখন বাংলাদেশের গর্ব। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তার অগ্রযাত্রার শুরু। দেশে ফেরার পর আমরা তাকে সংবর্ধনা দেব। কৃষ্ণার মাকে রত্নগর্ভা সম্মাননা দিয়েছি।