শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩১ অপরাহ্ন

ই-পেপার

কুড়িগ্রামে প্রধান শিক্ষকের একতরফা নিয়োগ বাণিজ্য

ফারুক আহমেদ, রংপুর ব্যুরো অফিস:
আপডেট সময়: রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৫০ অপরাহ্ণ

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী বানুরখামার নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের একতরফা নিয়োগ বাণিজ্য। নিয়োগের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) জহুরুল হক জিরো থেকে হিরো হচ্ছে নিয়োগ বাণিজ্য দিয়ে। যেন তার দূর্নীতি অনিয়মগুলো দেখার কেউ নেই। যেখানে ঝড় উঠে সেখানেই ছাতা ব্যবহার করে। লিখিত অভিযোগে জানা যায় নাগেশ্বরী বানুরখামার নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উক্ত বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী ফরিদুল ইসলাম(পলাশ) দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে বিনা বেতনে চাকরি করার পরেও তাকে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাকে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে গোপনে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নাগেশ্বরী বানুরখামার নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে হ-য-ব-ল বিরাজ করছে। অভিযোগ কারী ফরিদুল ইসলাম বলেন আমি প্রায় দেড় যুগ ধরে উক্ত বিদ্যালয়ে অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। গত ছয় জুলাই প্রতিষ্ঠানটি এ মহান সরকারের উদ্যেগে এমপিও ভুক্ত ঘোষনা হওয়ার পর বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) সু-চতুর জহুরুল হক ও তার মনোনীয়ত সভাপতি আব্দুল বাতেন মিয়াকে নিয়ে আমাকে নানা অজুহাত দেখিয়ে অন্য একজনকে দিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এবং অফিসে হাজিরা খাতা আমার প্রতিদিনের স্বাক্ষর মুছে দিয়ে নতুন খাতা তৈরি করে। এ নিয়ে নাগেশ্বরী বানুরখামার নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ছিঃছিঃ রব বিরাজ করছে। এ বিদ্যালয়ে আমি সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের জহুরুল হক নিকট আমাকে বাদ দেওয়ার কারন জানতে চাইলে নানা প্রকার অজুহাত দেখান। তারা আমাকে সাত/পাঁচ বলে এরিয়ে চলে। প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) জহুরুল হক দূর্নীতির আখড়ায় ভরে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তার বিরুদ্ধে কোন শিক্ষক বা কর্মচারী অনিয়মের কথা বললে তিনি জাপা নেতাকে দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতিসহ মিথ্যা মামলার হুমকি দেখায়। উল্লেখ্য ২৩ মার্চ ২০২১ সালে আমার নিকট হইতে দুই লক্ষ তেত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক উক্ত বিদ্যালয়ে অফিসের দায়িত্ব নিযোগ পত্র দিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। বর্তমানে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে আমার নিকট আবারও আট লক্ষ টাকা দাবি করে। কিন্তু আমি অসহায় গরিব লোক হওয়ায় উক্ত টাকা দিতে না পারার আমাকে চাকরি থেকে বাদ দেয়। এ নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু অদ্যবতি পযর্ন্ত আমার কোন প্রকার সুরাহার হচ্ছে না। তাই প্রসাশনের উচ্চ মহলের নিকট আমার আকুল আবেদন উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে যেন কয়লা ধুঁইতে ময়লা বাহির করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর