মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

চৌগাছায় রাস্তা নির্মাণে  বালুর পরিবর্তে মাটি!

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০, ৮:৩৮ অপরাহ্ণ

মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:

যশোরের চৌগাছায় নিম্নমানের ইট, খোয়ার সাথে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে রাস্তা পাকা করার অভিযোগ উঠেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালি নেতার আত্মীয় এমন কথা বলে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই নিজের খেয়াল খুশিমতো কাজ করছেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। উপজেলার চৌগাছা ইউনিয়নের কড়ইতলা-কয়ারপাড়া ইটের রাস্তা পুনরায় পাকা করার  কাজে এ ধরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। চৌগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সোহাগ হোসেন, হিরো আহমেদ, ফারুখ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা গ্রাম হবে শহর। সে অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়কের কাজ চলছে। কিন্তু এইসব রাস্তা পাকাকরণের কাজে শুরু থেকেই অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

 

রাস্তার কাজে নিম্নমানের ইট, খোয়ার সাথে বালু ব্যবহারের পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। মাটি ছিটিয়ে লেবেল করার চেষ্টা চলছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি এবং করছি। স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা বিএম উজ্জল হোসেন বলেন, ইট, বালু, খোয়া কোনোটাই ঠিক নেই। যে পরিমাণ খোয়া ব্যবহার করার কথা, তার চেয়ে অনেক কম দেয়া হচ্ছে। খোয়া দেয়া হচ্ছে নিম্নমানের। বালুও নিম্নমানের। রাস্তার দুই পাশে প্রথম শ্রেণির ইট দিয়ে রেইজিং করার কথা থাকলেও করা হচ্ছে তৃতীয় শ্রেণির ও কোথাও কোথাও দ্বিতীয় শ্রেণির ইট দিয়ে। স্থানীয় কয়েকজন চা দোকানদার জানান, কাজটি একেবারেই জঘন্য হচ্ছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের কোনো লোকজকে রাস্তা নির্মাণ কাজ দেখার জন্য কোনোদিনই কাউকে আসতে দেখিনি তারা। স্থানীয়রা আরো জাজান, উপজেলা প্রকৌশলীকে ফোনে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

 

বরং উল্টো যারা অভিযোগ করছে তাদেরই ধমক দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিক মঈনুল হাসান বাচ্চুর ০১৭৩৩১৫১১৭০ মোবাইলে অনেক বার ফোন করেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আবুল কাশেমের দাবি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ঠিক নয়। তারা নিয়ম মতো  কাজ করছেন। ভালোভাবে কাজ করার জন্য তার কড়া নির্দেশনা রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, তাদের লোক নিয়মিত কাজ তদারকি করছেন। আমরা অনিয়মের কোনো অভিযোগ পাইনি। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম খোয়ার সাথে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি খোজ নিয়ে দেখছি। প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কত কিলোমিটার রাস্তার কাজ হচ্ছে এবং বরাদ্দের পরিমান জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com