পানিশূন্যতা দেখা দিলে শরীরে অবসন্নভাব চলে আসে। পানির অভাবে শরীর ঠিকমতো কাজ করতে পারে না বলেই এটা হয়।
আমাদের শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পানি। কোনো কারণে যদি পানির এই পরিমাণ কমে যায়, তাহলে শরীরে দেখা দেয় নানা সমস্যা। দীর্ঘদিন পানিশূন্যতায় ভুগলে হতে পারে মৃত্যুও। পানিশূন্যতার লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট এনএইচএস।
লক্ষণ
মাথাব্যথা
শরীরে পানির ঘাটতি হলে মাথাব্যথা হতে পারে। পানিশূন্যতা হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও রক্ত প্রবাহ কমে যায়। আর এ থেকে মাথাব্যথা হয়।
.
মনোযোগের অভাব
মানুষের মস্তিষ্ক ৯০ শতাংশ পানি দিয়ে তৈরি। তাই পানির ঘাটতি হলে মস্তিষ্কে এর প্রভাব পড়ে। পানিশূন্যতা স্মৃতি, মেজাজ ধরে রাখা ও সীদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলে।
.
মুখে দুর্গন্ধ হওয়া
পানিশূন্যতা হলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। পানির ঘাটতি হলে শরীরে লালা কম উৎপাদন করে। এ কারণে মুখে ব্যাকটেরিয়া বেশি তৈরি হয় এবং মুখে দুর্গন্ধ হয়।
.
কোষ্ঠকাঠিন্য
মল ভালোভাবে হতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে পানি। পানিশূন্যতা হলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়া ও হজমের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
.
প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন
প্রস্রাব ঠিকঠাকমতো হওয়া মানে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি রয়েছে। প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ এবং তাতে তীব্র দুর্গন্ধ থাকলে বুঝতে হবে শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে।
.
অবসন্নভাব
পানিশূন্যতা দেখা দিলে শরীরে অবসন্নভাব চলে আসে। পানির অভাবে শরীর ঠিকমতো কাজ করতে পারে না বলেই এটা হয়।
.
প্রতিরোধ
দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করুন।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে পানি পান করে নিন। এটি অনেক সমস্যা কমাতে কাজ করবে।
সব সময় ব্যাগে পানির বোতল রাখুন।
খাদ্যতালিকায় রাখুন পানি জাতীয় সবজি ও ফল। যেমন : তরমুজ, শসা, টম্যাটো, বাঁধাকপি ইত্যাদি।
তবে কিডনি রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পানি পান করবেন।
চলনবিলের আলো/আপন