প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছর পর রোগী বহনে প্রথমবারের মতো লাইফ সাপোর্টযুক্ত এ্যাম্বুলেন্স পেল দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতাল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ্যাম্বুলেন্সটি বরিশালে পৌঁছে দেওয়ার পর সকল যন্ত্রপাতি সংযুক্ত করা হচ্ছে। হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে বাংলাদেশকে উপহার দেয়া এ্যাম্বুলেন্সগুলোর মধ্য থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্স শেবাচিম হাসপাতালে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ্যাম্বুলেন্সের লাইফ সাপোর্টের যতো যন্ত্রপাতি রয়েছে, তা সবছিলো খোলা। এজন্য বর্তমানে যন্ত্রপাতি সংযোজনের কাজ চলছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, লাইফ সাপোর্ট পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি করতে ইতোমধ্যে ব্রাদারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ্যাম্বুলেন্সটি সচল হওয়ার পর আশংকাজনক রোগীদের লাইফ সাপোর্টে তারা সার্বিক সহায়তা করতে প্রতিদিন আট ঘন্টা করে এ্যাম্বুলেন্সে দায়িত্ব পালন করবেন।
জরুরী রোগীর কল না থাকলে সাধারণ রোগীরাও এ এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। তবে রোগী বহনে কিলেমিটার অনুযায়ী টাকা গুনতে হবে। প্রতি কিলোমিটার কত টাকা তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
শেবাচিমের পরিচালক ডাঃ এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, গত মাসের শেষেরদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালে রোগীদের ব্যবহারে প্রেরন করা হয়েছে। এ্যাম্বুলেন্সে একজন রোগীর লাইফ সাপোর্টে যা যা প্রয়োজন সবকিছুই রয়েছে। লাইফ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য দ¶ জনবল প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহারে কিলোমিটার অনুযায়ী কতো টাকা করে দিতে হবে বিষয়টি জানার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসার পর তা নির্ধারন করা হবে।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ২৬ ও ২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসেন। তখন স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারকে ১০৯টি লাইফ সাপোর্ট এ্যাম্বুলেন্স উপহার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই ঘোষনা অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ধাপে ৩০টি পরবর্তীতে বাকীগুলো ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রেরন করা হয়। ওই এ্যাম্বুলেন্সের একটি দেওয়া হয়েছে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে।
#চলনবিলের আলো / আপন