রোববার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। লকডাউন চলাকালে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দফায় দফায় দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রপ্তানিমুখী শিল্প খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রপ্তানিমুখী সকল শিল্প ও কল-কারখানা আরোপিত বিধি-নিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।
এর মাধ্যমে ৫ আগস্ট পর্যন্ত টানা লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে বদল আসল। ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ঈদের একদিন পর অর্থাৎ ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিনের টানা লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। ঈদের পর শুরু হওয়া লকডাউনের মধ্যে ব্যবসায়ীরা কয়েক দফা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারাখানাকে লকডাউনের বাইরে রাখার আবেদন জানায়। কিন্তু সরকার বরাবরই কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে।
সার্বিকভাবে লকডাউন পরিস্থিতি মূল্যায়নে গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকেও ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুর্নব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, উচ্চ পর্যায়ের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী কর্মকর্তা, পুলিশের আইজিপি, বিজিবির ডিজিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের পক্ষ থেকে বার বার কঠোর অবস্থানের কথা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে নিল সরকার। এর কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের সূত্র বলেন, আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত নানাবিধ যৌক্তিক কারণে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে অন্য ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধের কঠোরতা বজায় থাকবে।