বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ন

ই-পেপার

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে মার্কিন জনপ্রতিনিধিদের অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১, ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের প্রশংসা করে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন মার্কিন জনপ্রতিনিধি। নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের আয়োজনে ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভিডিও বার্তা দেন তারা। ভিডিও বার্তায় মার্কিন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং, নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু এবং কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট ডনাভান রিচার্ডস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। এছাড়া নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি-আমেরিকানসহ সকল বাংলাদেশিদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে মুজিববর্ষ উপলক্ষে তারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। নিউ ইয়র্কের কুইন্স হতে নির্বাচিত মার্কিন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং তার বক্তব্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষে কাজ করে যাবেন বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশি-আমেরিকানদের স্বার্থ সুরক্ষায় তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন যে তিনি বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু। নিউ ইয়র্ক রাজ্যের রাজধানী আলবেনি হতে প্রেরিত ভিডিও বার্তায় স্টেট সিনেটর জন ল্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। দু’বছর আগে জাতির পিতার বাসভবন সফরের স্মৃতিচারণ করে সিনেটর জন ল্যু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে তিনি ইতিহাসের একটি বর্বর অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সকল বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশি-আমেরিকানদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। বাংলাদেশি-আমেরিকান অধ্যুষিত কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট ডনাভান রিচার্ডস বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুদৃঢ় রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণেই ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু অতি অল্পসময়ের মধ্যেই একটি দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি মহান স্বাধীনতার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানান। কুইন্সে বসবাসরত বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অবদানকে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন। নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসজনিত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিধি-বিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, ২৬ মার্চ দুপুর ১২টায় (নিউ ইয়র্ক সময়) ভার্চুয়ালি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২১ উদযাপন করবে। এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং, নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন সি. ল্যু এবং কুইন্স বোরো প্রেসিডেন্ট ডনাভান রিচার্ডসসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটি ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/কনসাল জেনারেলবৃন্দের বক্তব্য প্রচারিত হবে। মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ সম্মানের বন্ধুরা ও প্রখ্যাত মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা লেয়ার লেভিনও ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকবে।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর