নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিন বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। এর মাধ্যমে পূর্ণতা লাভ করে বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রাম। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসের আরেক আশীর্বাদ এবং বিজয়গাথা। অন্ধকার থেকে আলোয় যাত্রা। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও সদ্য স্বাধীন দেশে ছিল বিষাদের ছায়া। কারণ স্বাধীনতার প্রাণভোমরা বঙ্গবন্ধু তখনো পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। মৃত্যুদ- মাথায় নিয়ে পাকিস্তানের কারাগারে থাকা বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে চলে নানামুখী আন্তর্জাতিক তৎপরতা। অবশেষে ৮ জানুয়ারি তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। এরপর লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি ঢাকায় ফেরেন স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান। এদিন আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানায়।
সেই সময়ে প্রকাশিত পত্রিকা থেকে জানা যায়, ১০ জানুয়ারি বিকাল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। সশ্রদ্ধচিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন, সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন।
যুক্তরাজ্যের বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন বঙ্গবন্ধু। ১০ তারিখ সকালে তিনি ভারতের দিল্লিতে নামেন। সেখানে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জনক শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্য, শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সে দেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা পান।