শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জ সদরের ছোনগাছায় পাঁচঠাকুরী বাজার বাধ সংলগ্ন হাসেম, ফারুক ও মনিরের বাড়িতে চলছে ভেজাল গুড় তৈরির মহোৎসব। এর মধ্যে আঃ হাশেম স্থানীয় ওয়ার্ড আঃলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সেই প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে বাকি দুজনকে ছায়া দিয়ে তিনজন অসাধু ব্যাবসায়ী মিলে এই অবৈধ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় নিজ বাড়ীতে চিটাগুড়, চিনি, হাইড্রোস, সোডা কাপড়ের ব্যাবহত রং এর সংমিশ্রনে ভেজাল গুড় তৈরিতে ব্যাস্ত শ্রমিকরা। যে গুড় তৈরি হবার কথা আখের রস দ্বারা কিন্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফার জন্য বেছে নিয়েছে এই অভিনব অনৈতিক পন্থা। যার পরদে পরদে রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুকি।
কোন প্রকার নিয়ম নীতি না মেনে নিজেদের মতো তৈরি করছে ভেজাল গুড়। যার ফল হতে পারে সাধারণ মানুষের বড় ধরনের স্বাস্থের ক্ষতি। সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, এই এলাকায় ভেজালগুড় তৈরির মহাজন হিসাবে পরিচিত হাশেম, ফারুক ও মনির। এই তিনজন র্দীঘদিন যাবতৎ ভেজাল গুড়ের কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে যে পন্থায় ভেজালগুর তৈরি হয় তা মানুষের খাবার যোগ্য নয়। এই গুরতৈরি করে নদীর ওপারে টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করেন বলে জানা যায়। করোনা ভাইরাসের কারনে পুরো দেশ যখন ঝুকির মাঝে দেশে সাধারণ ছুটি চলমান। সেই সুযোগ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নজর আড়াল করে।
দিন রাত চালিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ ভেজাল গুড়ের কারবার। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা করা হলেও অধিক মুনাফার লোভে কেওই বাদ দেননি এই ব্যাবসা। বরং আরও বেশি ভেজাল মিশিয়ে সেই জরিমানার টাকার ঘাটতি পূরণে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভেজাল গুড়ের কারবারী মো: আঃ হাশেম বলেন, চিটাগুড় চিনি হাইডোস সোডা কাপড়ের ব্যাবহত রং ব্যবহার করে যে গুরতৈরি হচ্ছে তা স্বাস্থের কোন ঝুকি নাই বলে তিনি জানান।তিনি আরো বলেন অনেকেই এই গুড় আগে থেকেই তৈরি করছে তাই আমিও তৈরি করি। এবিষয়ে কতৃপক্ষের বক্তব্যের জন্য একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।