শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:০২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

৮৫ শতাংশ মানুষ রাতের ঢাকায় নিরাপদ বোধ করে; তাজুল ইসলাম

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ৯:৪১ পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ রাতের ঢাকায় চলাচলে ৮৫ শতাংশ মানুষ নিরাপদ বোধ করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে উন্নতি হচ্ছে। গতকাল বুধবার ডিজিটাল সেন্টার চালুর ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনলাইন সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাকে মাঝে মাঝে বিদেশি রাষ্ট্রের মন্ত্রীরা প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশের ম্যাজিক কী? এত অল্প সময়ে ভিন্ন খাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন হলো? ঢাকা শহরে এমন খুব কম দিন ছিল যেদিন একটা খুন হতো না। এখন দেখা গেছে ৮৫ শতাংশ মানুষ মনে করে যে, ঢাকা শহরে রাতে চলাচল করা নিরাপদ। স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করা যায়। এই যে পরিবর্তন সেগুলো তরুণদের হাত ধরে যাদের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার।

 

একজন মন্ত্রী হিসেবে তাদের সৃজনশীল পরিকল্পনা দেখে আমি আশ্চর্য হই। তাদের কারণে আমাদের বিশ্বাস করতেই হয় যে, আগামী দিনে আমাদের যে স্বপ্ন আছে তা পূরণ হবে। ম্যাজিকের ব্যাখ্যা দিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এখানে ম্যাজিকটা হলো যে, মূল কথায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি যে বিষয়গুলোকে যুক্ত করেছেন তার মধ্যে অন্যতম মূল বিষয় তথ্য-প্রযুক্তি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যারা তার কর্মীআছি আমরা যদি একত্রে কাজ করে যেতে পারি তাহলে এই দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অনলাইন সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে এখন প্রায় সাড়ে ছয় হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে। এগুলোতে প্রায় ১৩ হাজার আইটি উদ্যোক্তা কাজ করছেন। এদের মধ্যে নারী উদ্যোক্তা প্রায় পাঁচ হাজার। এসব ডিজিটাল কেন্দ্র থেকে মাসে গড়ে ৬০ লাখ নাগরিক সেবা নিচ্ছেন। আগামীতে দেশজুড়ে ২৫ হাজার ডিজিটাল সেন্টার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে সম্মেলনে জানান আইসিটি বিভাগের এস্পায়ার টু ইনোভেশন (এটুআই) প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন ঢাকা মানেই বাংলাদেশ নয়।

 

ঢাকার বাইরে যে হাজার হাজার গ্রাম আছে তার উন্নয়ন হলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে। এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়নকে নিয়ে গেছেন। আর তার সুযোগ্য পুত্র এবং আইসিটি উপদেষ্টা যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেকচার তিনি শুরুতেই উদ্যোগ নিয়েছেন দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্রুত গতির ইন্টারনেট ফাইবার ক্যাবল পৌঁছে দেওয়ার। এর ফলে প্রায় তিন হাজার ৬০০ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে আমরা দ্রুত গতির ইন্টারনেট ক্যাবল পৌঁছে দিয়েছি, সেখান থেকে আবার আশেপাশে ক্যাবল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল সেন্টার গুলোকে ডিজিটাল ইকোনমিক হাবে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, সেন্টারগুলোর উদ্যোক্তাদের আয়ের ব্যবস্থা করে দিতে ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে আমরা ডিজিটাল ইকোনমিক হাব বানাব। এগুলোতে ই-কমার্সসহ বিভিন্ন সেবা যোগ করার ব্যবস্থা করব যেন নাগরিকেরা এখান থেকে সেবা পান এবং উদ্যোক্তাদের আয় বাড়ে। সভায় বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জিসহ এলজিআরডি মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর