মোঃ আমিনুল ইসলাম, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার শ্রীকোলা গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের ছোট্টো ছেলে কিশোর জিহাদ (১৪) পড়ালেখার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বাবাকে খবরের পত্রিকা বেচা বিক্রিতে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন।কিশোর জিহাদের বাবা নুর“ল ইসলামের ২ মেয়ে, ১ ছেলেসহ স্ত্রীকে নিয়ে তার দঃখ কষ্টের বসবাস।বড় মেয়েকে খুব কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছেন।আর রয়েছে ছোট্ট একটি মেয়ে ও কিশোর জিহাদ।জিহাদের বাবা উল্লাপাড়া পুরান বাসস্ট্যান্ডে একটি টেবিলের উপর বিভিন্ন রকমের পত্রিকা সাজিয়ে বিক্রি করে থাকেন।এর পর ৯ টার পর থেকে বিভিন্ন দোকান পাট,অফিস আদালত ও বসবাসরত বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের পত্রিকা বিক্রি করেন।
জিহাদ উল্লাপাড়া সান ফ্লাওয়ার স্কুলের ৭ম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্র। প্রতিদিন সকালে জিহাদ তার বাবা নুর“ল ইসলামের সাথে উল্লাপাড়া শহরে এসে পত্রিকা বিক্রির কাজে সহযোগিতা করেন।তার বাবা যখন পত্রিকা বিক্রি উদ্দেশ্য এখানে সেখানে বের হন তখন কিশোর জিহাদ উল্লাপাড়া পুরাণ বাসস্ট্যান্ডে একটি নিদিষ্ট স্থানে বিভিন্ন খবরের পত্রিকা বিক্রি করে বাবার হাতে টাকা তুলে দেন।যেদিন স্কুল ছুটি থাকে সেদিন বাবার সাথে পুরোটা সময় শ্রম দেন কিশোর জিহাদ।একদম শান্ত ভাবের ছেলে হিসাবে এলাকায় পরিচিত জিহাদ।স্কুলে মেধাবী ছাত্র হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে তার! কিশোর জিহাদ বলেন,আমার বাবা দরিদ্র হওয়ায় ও একা একা পত্রিকা বিক্রি করতে কষ্ট হয় বলে লেখা পড়ার পাশাপাশি বাবাকে পত্রিকা বেচা বিক্রিতে সহযোগিতা করি।আর আমি যতদিন বেচে আছি এভাবে বাবাকো সাহায্য সহযোগিতা করে যাব।
জিহাদের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন,আমি কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সারাদিন পত্রিকা বিক্রি করে ও রাতে অটোভ্যান চালিয়ে সন্তানদের মানুষ করছি।আমার যতো কষ্ট হোক না কেনো আমি আমার ছেলে জিহাদকে উচ্চ শি¶ত করে মানুষের মতো মানুষ করতে চাই। উল্লাপাড়া সান ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষক ও সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক কল্যাণ ভোমিক বলেন,জিহাদ সান ফ্লাওয়ার স্কুলের একজন শিক্ষার্থী,জিহাদ খুব কষ্ট করে লেখা পড়া করে।স্কুলের সময়টুকু ব্যতিত ও ছুটির দিনে জিহাদ ওর বাবার সাথে পত্রিকার হকারী করে ওর বাবাকে সহযোগিতা করেন।আমরা একারণে স্কুল থেকে বেতন বা পরিক্ষার ফি ব্যপারে আমরা যতটুকু সম্ভব স্কুলের প¶ থেকে সহযোগিতা করা হয়।
#CBALO/আপন ইসলাম