রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

যমুনার ভাঙ্গণে চৌহালীতে অনেককেই গৃহহীন করে তুলছে

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শনিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২০, ৫:০২ অপরাহ্ণ

মাহমুদুল হাসান,স্টাফ রিপোটারঃ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে যমুনা নদীর ভাঙ্গণে বিলিন হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম।ভাঙ্গন কবলিত ইউনিয়ন গুলি হল, বাঘুটিয়া, খাসপুখুরিয়া, ঘোরজান, স্থল ও উমারপুর।গৃহহীন গ্রাম গুলি হচ্ছে,শাকপাল,্ উত্তর খাষপুখুরিয়া, দক্ষিণ খাষপুখুরিয়া, রেহাইপুখুরিয়া নতুন পারা, মিটুয়ানি, চর নাকালিয়া, চর বিনানই পশ্চিম পারা, হাটাইল, চরসলিমাবাদ, দক্ষিণ চর সলিমাবাদ, ভুতেরমোড়, রমাশুকা,বীরবাউনিয়া,খাষপুখুরিয়া পশ্চিম, বাঘুটিয়া, চৌবাড়িয়া, হাপানিয়া, চর সলিমাবাদ পশ্চিমপাড়া,ঘুশুরিয়া,মুরাদপুর,স্থলচর সহ ২০টি গ্রাম। ইতোমধ্যেই এ সব গ্রামের পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও ৩ হাজার বিঘার ফসলি জমি,বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,পাকা সড়ক যমুনা গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

 

হুমকির মুখে পড়েছে ২ শতাধিক ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। এ ভাঙ্গণ রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যকরি ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকাবাসি ফুসে উঠেছে। তারা ভাঙ্গণ রোধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে যমুনা পাড়ে মিছিল মিটিং ও মানববন্ধন করেছে। তারপরেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। কর্তৃপক্ষ কুম্ভুকর্ণ হয়ে ঘুমাচ্ছে। এ দিকে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃ¯^ মানুষ পথে বসেছে গৃহহীন হয়ে। চোখের সামনে একের পর এক ঘরবাড়ি, জমি জমাসহ বিভিন্ন স্থাপনা যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে বীরবাউনিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম,শাকপাল গ্রামের আইয়ুব আলী,খাসপুখুরিয়া গ্রামের আব্দুল মালেক,মিটুয়ানি গ্রামের গোলাম মোস্তোফা,বাঘুটিয়া গ্রামের আবু মুছা,চর সলিমাবাদ গ্রামের কামরুল ইসলাম,ঘুষুরিয়া গ্রামের সেলিম হোসেন,সম্ভুদিয়া গ্রামের সালাউদ্দিন,আবু দাউদ সরকার জানান,এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকেই চৌহালি উপজেলার এ ৫টি ইউনিয়নে ব্যাপক ভাঙ্গণ শুরু হয়। এরই মধ্যে শতাধিক বাড়িঘর, ২ হাজর বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে মানুষ বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাহহার সিদ্দীকি বলেন, প্রায় এক যুগ ধরে চৌহালি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের গ্রাম গুলি যমুনা নদী ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে। গ্রাম গুলি ভাংতে ভাঙতে ক্রমশ মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ এ ভাঙ্গণ রোধে বার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। ফলে এ সব এলাকার শত শত ঘরবাড়ি,সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও ফসলি জমি একের পর এক যমুনা নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। এতে এ উপজেলার অন্তত ১০ হাজার মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব ও গৃহহীন কওে তুলছে। নিরুপায় হয়ে তারা আন্দোলন শুরু করেছে। তাদেও দাবি একটাই ত্রাণ নয় টেকসই বেরীবাধ ও স্থায়ী বাধ চাই।খাষপুখুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরকার বলেন,যমুনা নদীর পুর্ব অঞ্চল রক্ষার্থে জিওব্যাগ ডাম্পিং এর সাথে সাথে স্থায়ী বাধ প্রয়োজন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক সরকার ডেইলী সানকে জানান,এলাকার মানচিত্র ও জনগনের দাবি পুরণে জিওটেক্স বালুর বস্তাসহ বেরীবাধ নির্মান জরুরী হয়ে পরেছে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন,চৌহালির ভাঙ্গণ রোধে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। তারা এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা তারাই ভাল বরতে পারবে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গণ রোধে এখন ওই এলাকায় জিওটেক্স বালুর বস্তা ফেলার কাজ চলছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া আছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই ওই এলাকায় স্থায়ী বাধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

 

#CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর