বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
রুহিয়ায় প্রাইম ব্যাংকের এজেন্ট শাখার শুভ উদ্বোধন জেল থেকে বেরিয়ে ভোমরা সীমান্তে আবারও বেপরোয়া শামীম, বিজিবি সদস্যকে নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত ঈশ্বরদীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ‎৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত  অভয়নগরে কাঠ-পুড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ চুল্লীর কারণে ভয়ংকর হুমকির মুখে পরিবেশ, প্রশ্নবৃদ্ধ প্রশাসন বীরগঞ্জে ভর্তি কাজে রোভার স্কাউটদের সেবামূলক কার্যক্রম ভাঙ্গুড়ায় বিএনপি নেতা মোতালেব হোসেনের সংবাদ সম্মেলন জনগণের পরিবর্তন চাই, আপনাদের জন্য কাজ করে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করতে চাই- কেএম আনোয়ারুল ইসলাম

অভয়নগরে কাঠ-পুড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ চুল্লীর কারণে ভয়ংকর হুমকির মুখে পরিবেশ, প্রশ্নবৃদ্ধ প্রশাসন

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর (যশোর):
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:০৫ অপরাহ্ণ

কাঠ-পুড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ চুল্লীর তান্ডবে দূষিত  হয়ে উঠেছে যশোরের অভয়নগরের বাতাস, প্রশ্নবৃদ্ধ প্রশাসনের দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের আমতলা ও সোনাতলা গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে কাঠ পুঁড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ চুল্লিতে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ কয়লা তৈরি করা হয়। ফলে ওই এলাকার বনও পরিবেশ হুমকির মুখে রয়েছে, বাড়ছে মানুষের শ্বাস কষ্টসহ নানাবিধ রোগ। ওই অবৈধ চুল্লি তৈরি সিন্ডিকেটের এতোটাই ক্ষমতা যে আইনকে থোড়াই কেয়ার করেনা। ওই সব অবৈধ চুল্লি প্রসাশনের পক্ষ থেকে একাধিকবার ধ্বংস করা হলেও এক অজানা ক্ষমতাবলে বার-বার ওই চুল্লি তৈরি করে কাঠ পুঁড়িয়ে তৈরি করা হয় কয়লা। এতে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে, উজাড় হচ্ছে বন। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালে উপজেলা প্রসাশন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যশোরের উদ্যোগে ১৪/১৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্রের  গড়ে তোলা অবৈধ ১১৩ টি চুল্লি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধ্বংস করা হয়। দীর্ঘ ২বছর অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষ আর ওই অবৈধ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অবৈধ চুল্লী তৈরি কারীরা রয়েছে বহালতবিয়তে এবং কাঠ-পুড়িয়ে কয়লার চুল্লী তৈরি দিনদিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হয়ে বেপরোয়া ভাবে তাদের অবৈধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে প্রশাসন কর্তৃক অবৈধ চুল্লী ধ্বংস করার পরে

মাস পার হতে না হতে আবারও ওই অবৈধ চুল্লি তৈরি করে চালু করা হয়, কাঠ পুঁড়ানো কারবার। সেই থেকে এযাবৎকাল কাঠ-পুড়িয়ে কয়লার চুল্লিতে ওই এলাকা সয়লাব হয়ে পড়েছে। যে কারনে পরিবেশ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। এবং মানুষের নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একদিকে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে অন্যদিকে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। বার-বার সাধারণ মানুষ ওই অবৈধ চুল্লী তৈরি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে নিরব হয়ে গেছে। তারা এটাই মেনে নিয়েছে আইনের থেকে অবৈধ চুল্লী তৈরি কারীদের ক্ষমতা বেশি। যে কারনে সবাই প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে এই প্রতিবেদকের কাছে সাধারণ মানুষ ও এলাকাবাসীর প্রশ্ন এদের ক্ষমতার উৎস কি? এবং কর্তৃপক্ষ নিরব কেনো। কাদের ইন্ধনে ওই সব অপরাধীরা পার পেয়ে যায় ও বার বার গড়ে তুলছে অবৈধ চুল্লি। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজনৈতিক ছত্রছায়া ও অসাধু সাংবাদিকসহ প্রসাশনের কিছু অসাধু ব্যক্তিদের ইন্ধনে ওই সব কাঠ পুঁড়িয়ে কয়লা তৈরির অবৈধ চুল্লি গড়ে তুলে করে চলেছে অবৈধ কারবার। ফলে সাধারণ মানুষের কান্না শেষ হচ্ছেনা। ওই এলাকার সাধারণ মানুষ অবৈধ চুল্লি বন্ধের জন্য মানববন্ধনসহ বিভিন্ন সময় আন্দোলন করেও তাদের ভাগ্যের ফলাফল শুন্য। সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন জরুরি ভাবে প্রসাশনের পক্ষ থেকে অবৈধ চুল্লি ধ্বংসসহ ওই সব অবৈধ চুল্লি তৈরি করা সিন্ডিকেট  ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে আর যাতে অবৈধ চুল্লি তৈরি করতে না পারে। না হলে ওই এলাকার মানুষের বসবাস করা দায় হয়ে পড়ছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের জিয়া মোল্যা, ছোট্ট মোল্যা, শহিদ মোল্যা, হারুন মোল্যা, রফিক মোল্যা, তৌকির মোল্যা, কবীর শেখ, হাবিব হাওলাদার, তসলিম মিয়া, মনির শেখ কামরুল ফারাজী এবং ধূলগ্রামের হরমুজ সর্দার, রকশেদ সর্দার, ফারুক হাওলাদারসহ আরো অনেকে এ অঞ্চলে দেড়শতাধিক চুল্লি তৈরি করে কয়লা বানিয়ে আসছেন। কিন্তু তারা এতটাই বেপরোয়া যে স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তো দূরের কথা মুখ খুলতেও সাহস করেনা। এ বিষয়ে কয়েকজন চুল্লি মালিকের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঘাটে ঘাটে টাকা দিয়ে আমাদের ব্যবসা চালাতে হয়। স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে সব মহলকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেই তারপর ব্যবসা চালাই। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আপনাদের সাংবাদিকদের মধ্যে এক সিনিয়র সাংবাদিককে সকল চুল্লী মালিকের পক্ষ থেকে মাসে ৪০ হাজার টাকা দিতে হয়। যে কারনে কোন ঝামেলা হওয়ার কথা না। জরুরি ভাবে কাঠ-পুড়িয়ে কয়লা তৈরি অবৈধ চুল্লী ধ্বংস করে চুল্লী তৈরি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দাবি করেছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে যশোর  পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ এমদাদুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোনটা রিসিভ করেননি। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পার্থ প্রতীম শীল মুঠোফোনে বলেন, আমি বিষয়টি জানলাম ঠিকানাটা মেসেজ করেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর